" নারীর অধীকার "
_পৃথিবী
কটা 'মালালা' হত্যা করবি ভীরু কাপুরুষেরা বল
কালের প্রয়োজনে জন্মেছে মালালা-ইলা-বীর আলী ওমরের দল ।
বল শয়তান বল ।
ছিঃ কলমে পারলি না , তাই অস্র ধরলি বুকে ,
লজ্জায় আমি বলিতে পারি না ' পুরুষ ' জিজ্ঞাসু অতিথিকে ।
আজ পৃথিবীর প্রতিটি ধূলিকণা কাঁদে , রক্তকঙ্কর দিকে দিকে
তবুও বলিস খোদা দিবেন বেহেস্ত তোদের সুখে ।
কোন ধর্মের কোন পুস্তকে লিখা নারীরা পুরুষের দাস ,
একবার বল পুরিব সকল রাখিব না খোদার লাশ ।
যে খোদা সৃষ্টি করিয়া সৃষ্টির মধ্যে বৈষম্য তুলিয়া রাখে
জুতা মার তার গালে,নয় খোদা ও পিঁশাচ,বেঁচে খোদার ছলে।
যে খোদার কথা বলিল মোহম্মদ-ঈসা-মুসা–যিশু ।
সে নয় তোর খোদা,মিথ্যে বলিনি কিছু , ওরে পথভোলা নর পশু ।
মন দিয়ে শোন দস্যু ।
যানি না কেন তিনি বলিলেন ,এক নোর সম দুই নারী
দৃঢ় ভাবে বলি আমি ভিন্ন তাঁর সাথে মিলিতে না পারি।
বলে দে প্রতিটি কোনে আজ থেকে আমি ইহুদীর দলে
সেথা চলিব অন্ন খুজিব, যেথা সবে অধিকার লয়ে চলে।
হিন্দু-মুসলমান-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ বলি নাহি হিংসা বিদ্বেষ,
নাহি খুনাখুনি হত্যাযজ্ঞ ,নারীর অধিকার যবে বেশ।
আমার ভিতরে বহমান নজরুল-কালাপাহারের রক্ত
সোজা হয়ে যা ,নইলে মেরে শান্ত দুয়ার করিব তিক্ত ।
ওরে তরুন, ওরে কাঁচা আয়না আমার সঙ্গে
হাড় গুঁড়ো করি,যারা নারীদের ঘরে বাঁধে ইচ্ছে খুসির রঙ্গে
আমি গাই মোর ঢঙ্গে ।
যে নর তারও একটি দেহ প্রান; নারী তারও একটি দেহ প্রান
সবারই দুটো হাত, দুটো পা, দুটো নাক-কান ।
কই বিধাতা’ত পুরুষকে দিল না দুটো দেহ প্রান,কেন তবে?
সৃষ্টি থেকে অদ্য নর,নারীদের শোষণ করিয়া চলে ।
প্রকৃতির রাজ্যে কোটি কোটি প্রান কোটি বছর ধরে
শুনিনি’তো বেঁধেছে যুদ্ধ কোন প্রান বাঁচার তরে ।
সৃষ্টি লগ্নে নর এলো তেজে অহংকারের বসে হইতে ধরার রাজা
বন্ধুর পথ একা চলা দ্যায় পদে পদে পাইল সাজা ।
সে দিন, নারী এসে পাশে না দাঁড়ালে পুরুষ হইত পশু
হিংস্র জন্তুর চেহারায় ঘুরিত বাঘ-ছাগ-শূকরের পিছু ।
শোন অস্ত্র ধারী পশু।
আজ আমার ঘুম ভেঙ্গেছে কাল ভাঙ্গিবে সবার
সময় থাকতে সুপথে আয় শান্তি সুখের ধরার ।
মুসলিম বেশ ছেরে চল খোঁদার পথে চলি
মনের সব পাপ-তাপ-হিংসা-অহমিকা দেই অঞ্জলি ।
নইলে আসিব সায়র ভেদিয়া;বিদ্যুৎ বেগে গগন চিরিয়া
রক্তের বদলা নেব গুনিয়া;ধরিব সারা পৃথিবী খুজিয়া
সবে মিলে তোদের দেহ থেকে মাংস কামরে কামরে ছিরে
বনের হিংস্র কুকুর-শেয়ালের মুখে দিব তুলে,
জাহান্নামের উষ্ণ জলে ধুয়ে ,চিতায় দেব ফেলে
মানুষ রুপি পশুর ছাই ,কেহ পূঁজিবে না কোন কালে ।
বাঁধিব তোদের কোলে ।
স্বয়ং মহাম্মাদ(সঃ) পাহারা দিল হিন্দুর ধর্ম দলে বলে
প্রেম-প্রীতি ভালবাসায় বলিল আসুন শান্তির তলে ।
ধর্ম প্রচারে লাগেনি অস্ত্র ,রণ সজ্জার বিশাল সৈন্য
শুধু তাঁর হাসি-মহানুভবতায় পৃথিবী হয়েছে ধন্য ।
তাঁর প্রানের ধর্ম আজ জয় করেছে সারা বিশ্ব জগৎ
খোঁদার কত প্রিয় রাসুল চাইল হতে দাস রুপী উম্মত ।
কত পীর-অলী শুধু গল্প শুনে প্রেম করিল নবীর সনে
কত সাহাবি কত প্রান্তরে,শূল বাঁধাল আপন প্রানে
মোর প্রিয় নবীর প্রিয় প্রিয় মাটিতে আর রক্ত ঝরাস নে ভাই
নর-নারী-জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভুলে চল সাম্যের গান গাই।
চল ভালো হয়ে যাই ।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা কিছু কয় , ভাবি যা তন্ময় -
ধর্মের দ্বারে মানুষ নয়; মানবের প্রয়োজনে ধর্মের জয় ।
(সংক্ষেপিত)