জানো মা? কত রাত জাগা আমি।
কাছে টেনে কেউ গায়নি ঘুম পাড়ানি গান।।
কেউ বলেনি কি হয়েছে ?
কেনো আজ তোর এত অভিমান?
যেদিন তুমি চলে গেলে রবির মতো অস্তাচলে।
সেদিন আমিও গিয়েছিলাম সবার পাশে পাশে।।
জানিয়েছিলাম বিদায় তোমায় আমার সুদীর্ঘ নিঃশ্বাসে
পারিনি মা রাখতে ধরে অনেক যত্ন করেও।
বলেছিলাম ঠাকুর তুমি আমায় তুলে নিও।।
ছোট্ট আমি মাকে ছেড়ে থাকবো কেমন করে?
বললো সবাই সতীসাধ্বী, মরলো মাথায় সিঁদুর নিয়ে।
কেউ ভাবেনি আমার কথা তোমার সতীত্ব বাদ দিয়ে।।
অতঃপর এমনি করেই কাটলো কিছুদিন।
বাবা এসে বললো হঠাৎ আসবে ভালোদিন।।
জানো মা ? নতুন মাকে যেদিন বাবা
আনলো আবার ঘরে।
আমার সেদিন স্হান হয়েছে সেই ছোট্ট ভাড়ার ঘরে।।
জানো মা, আমি এখন অনেক বড় বাবা ও তাই বলে।
তাই তো বাবা আর ডাকে না নেয় না যে আর কোলে।।
চুকে গেছে পড়াশুনা যাই না খেলার মাঠে।
এখন আমার দিন কেটে যায় ঘরের মেলা কাজে।।
জানো মা, ওদের পাতে কত্ত খাবার,হরেক রকম পদ।
আমার জন্য বরাদ্দ সেই আগের দিনের ভাত।।
বাবা তো মা সব দেখতো বলো? কোই বলতো না কিছু
নতুন মাই যে বাবার আপন আমি তো আজ পর।।
এরপরেতে বছর ঘুরে আসলো যখন ভাই?
আমি তখন আরোও বড়ো, আমিই ভাইয়ের ধাই।
হারিয়ে গেল ছোটবেলা ভাঙলো খেলাঘর।।
সবাই যে আজ সবার আপন আমিই শুধু পর।
রাতে যখন যাই শুতে মা? সেই ছোট্ট ভাড়ার ঘরে।
সাথে থাকে তোমার সেইইইই লাল শাড়িটা।।
আমার শোবার ঘরে।
ওতেই যে পাই আমার মায়ের অনেক চেনা গন্ধ
ওটাই শুধু আমার আপন বাকি সবাই পর।
দেখো মা? আমিও যাবো অনেক দূরে চলে
তোমার মতন করে।
ভুলবে সবাই আমাকেও, যেমন তোমায় গেছে ভুলে।।