মাঠের পাড়ের হিজল গাছে
থাকতো দুজন ভূতের পো
উৎপাততে এই দুজনের
অতিষ্ঠ সব গ্রামের লোক
রাত্তিরে খনা গলায়
ধরতো যখন দুজন গান
গানের গুতোয় এই দুজনের
যায় বেরিয়ে সবার প্রাণ
এমনিতে বেশ শান্ত তাঁরা
নয়কো তেমন উৎপাতে
রাত্রি হলেই সুর চড়িয়ে
দুজন মিলে গান বাঁধে
উপায় খুঁজে গ্রামের লোকে
গেলো সবাই পাশের গাঁয়ে
বিশু ওঝা থাকতো সেথায়
খড় বিছিয়ে গাছের ছায়ে
মন দিয়ে সে শুনলো সবই
গ্রামের লোকের সব কথা
শান্ত স্বরে বললো তাঁদের
রাত্তিরে আজ যাচ্ছি আমি
এখন সবাই ঘরকে যা
দেখছি আমি ভুতের ছানা
গাইতে পারে কত্ত গান
গ্রাম ছাড়া না করতে পারি
বদলে দেবো নিজের নাম
ঝাঁটা হাতে বিশু ওঝা
গেলো যখন রাত্তিরে
ভুতের ছানা মনের সুখে
তখন সবে গান ধরে
গান শুনে তো বিশু ওঝার
মনের ভিতর সে কি সুখ
আনন্দে চোখ ভাসিয়ে বলে
ভুলিয়ে দিলি সকল দুখ
তাড়িয়ে দেবো তোদের কিরে
এ ভুল আমি আর করি
আয়রে ছানা আয়রে পোনা
সবাই মিলে গান ধরি