সুনয়না ছিল মেয়ের বন্ধু, স্কুলে যেত হাতে হাত ধরে,
ভারী দুষ্টু, খুব মিষ্টি, যখনই দেখতাম মেতে আছে হই হুল্লোড়ে,
পড়ার কথা শুনলেই তার মুখ হয়ে যেত ভারী,
খেলা নাচ গান আর বন্ধুরা মিলে সারাদিন হুড়োহুড়ি।
আমার মেয়ে চেয়েছিল ডাক্তার হতে, আরো কজন বন্ধু ও চায়,
কেউ ভাবে শিক্ষিকা বা উকিল হবে
কারো ঝোঁক সাংবাদিকতায়।
সুনয়না ওসব কিছুই চায়নি, সে চেয়েছিল ভাইরাল হবে...
লক্ষ লক্ষ লাইক পাবে ফেসবুকে,
লক্ষ ভিউ ইউ টিউবে..
ইনস্টাগ্রামে ও ছাড়িয়ে যাবে লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার
তাকে নিয়েই মেতে থাকবে ফেসবুক থেকে টুইটার..
আমার মেয়ে এখন মেডিক্যাল থার্ড ইয়ারে,
বাকি বন্ধুরাও যে যা হতে চেয়েছিল সে লক্ষ্যেই চলেছে ধীরে,
সুনয়না ভাইরাল হতে পারেনি, যেমনটি সে চেয়েছিল..
আজ বহুদিন পর সুনয়নার সাথে দেখা হল..
জানা হলনা আজ টুইটার ইন্সটাগ্রামে কতজন ফলো করে..
সেই ভাইরাল হতে চাওয়া সুনয়না আজ লাশকাটা ঘরে..
রোদ্দুর হতে চাওয়া অমলকান্তির কথা ও শোনেনি,
দিনবদলের স্বপ্ন দেখা ছাত্র নেতার লাশ ও সে দেখেনি,
লাগামহীন ভোগবাদী সমাজে, অলীক স্বপ্নের প্রভাবে,
সুনয়না ভেবেছিল ঠিক একদিন ভাইরাল হয়ে যাবে..