আমি হাঁটছি, দেখছি
অজস্র পায়ের-
জুতোয় আঁকা স্বপ্নগুলো।
কেউ চামড়ায়, কেউ রেক্সিন অথবা
বার্মিজের খাপড়ায়!
কেউ স্বপ্ন কুঁড়ায়, কেউ ঘাম,
কেউ বিক্রি হয়,
কেউ খোঁজে নাম।
সব'ই চাকা ছাড়া দুপায়ের খেল,
সে মানুষ পায়ে চকচকে জুতো পড়ে,
মাথা করেছে বেল!
আমাদের সম্মান ঠেকেছে পাদুকায়,
তাই অভিমানি চুলগুলো,
ক্ষোভ ঝেড়েছে মাথায়!
যদি স্থির হয়ে যাই,
ভেবো না মরে গেছি,
আমি ক্লান্ত, তাই দাঁড়িয়েছি।
আমি দেখছি-
মস্তকহীন আটপৌরে স্বপ্নগুলো।
তুমি ভেবো না আমার কথায়,
আমি পাদুকা বেঁচে-
কিনব না রত্ন!
আমার স্ত্রী, প্রতিদিন
এই চটিজোড়া দুহাতে মোছে,
ও ভুলে গেছে-
আমার ডানপায়ে
একটা ফোড়াও আছে!
গেলো ঈদেও নতুন জামা গড়াই নি।
অফিসের বড়বাবু-
জুতো ছাড়া, বেশ চটে!
একথা সত্যি, আমার জামায় তাঁর,
এলার্জি নেই বটে।
বউকে একদিন বলেছিলাম,
ওর ঠিকি মনে আছে।
আচ্ছা, আমি যেদিন মরে যাবো,
এই জুতো জোড়ার কি হবে?