অনর্থের আবদার
প্রিন্স রোমান পিকিউ
~
তাহলে আজ একবার এসো,
অপেক্ষারত থেকে থেকে, আমার প্রতীক্ষা করো।
আমি আজ গান শোনাব তোমায়।

মনে পড়ে স্বর্ণলতা?
সেই সুর আর গানের কথা?
তুমি শুনতে, আমি গাইতাম।

আমি আজও গান গাই,
সেতারে আওয়াজ তুলে, রেওয়াজ করি সে সুর।
রাত যখন গভীর হয়,
তখন চাঁদ ও চাঁদের বুড়িই আমার শ্রোতা।
জানো-তো? ওরা এতটুকুও বিরক্ত হয় না।

পালা শেষে যখন ঘরে ফিরি,
আমার পুরোনো কপাট ঠকঠক স্পন্দন খোঁজে,
মনে হয় বিছানা থেকে-
একটা ভরা যৌবন উঠে আসুক,
ভরা যৌবন উঠে এসে দরজা খুলুক,
বলুক দাঁড়িয়ে কেনো? ভেতরে এসো?
আধো আধো ঘুমে, মায়ায় টসটস করছে সেই মুখ!
মনে হয়, আমি তোমার উজ্জল চাহনিতে ভর করি,
নিমিষেই অক্লান্ত হয়ে যাক আমার রক্তস্রোত,
তুমি জ্বালাও আমি জ্বলি,
পুড়ে পুড়ে ভালোবাসার গন্ধ হই, নির্জন আধারে।
ভৌতিক চাদর হয়ে উঠি আমি,
যেখানে তুমি বিনয়ী, আমি আলিঙ্গিত পুরুষ!

ভিতরে মধুর সঙ্গীত, বাইরে আমাবশ্যার ভয়ার্থতা,
এই ত্রাস খুব সাবধানে,
তোমাকে আমাকে নিকটস্থ করুক!
আমার কপোলের প্রত্যেকটি ভাঁজ
তোমার নাক ও মুখের খুব কাছাকাছি আসুক।
প্রেমগুলো সব একটু একটু করে পাহারা সাজুক,
চার দেয়াল জুড়ে।
মাঝে মাঝে হুঁ হুঁ করা বাতাসে,
ক্ষণিকের দমকায় তুমি শীতল হয়ে যাও,
আর আমি উষ্ণতার ছলনায়
পাঁজরের কাছাকাছি টানি তোমায়!

এমনটাই ভেবে ভেবে-
আমার রাতগুলে ভোর হয়,
ভোরগুলো সকাল হয়,
সকালগুলো দিন পেরিয়ে,
পুনরায় রাত হয়।
তবু তোমায় গান শোনানোর বায়না,
পূরন হয় না!
স্বপ্নে আসা বায়নাগুলো,
আয়নার সামনে,
সহ-অভিনেত্রী ছাড়াই মঞ্চস্থ করি।

স্বর্ণলতা, আজ একবার এসো না,
বিকেল পড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে?
আমি তোমায়, গান ও সুর শোনাব!

~প্রিন্স রোমান পিকিউ~