ভাত ছেটালে কাকের অভাব হয় না,
প্রয়োজন ফুরালে কাকও কাছে রয় না।
—আর তুমি তো চতুর মানুষ!
তোমার চেয়ে প্রয়োজন ভালো বোঝে কে?
সময়ের পাখি তুমি, সময় শেষে ফাঁকি!
তবু দুই নয়নে ভিজিয়ে তোমায়
যতনে হৃদয়ের মণিকোঠায় রাখি।

আদর করে পুষেছিলাম এক শুভ্র বিড়াল,
মৃত্যু অবধি আমা হতে হয়নি আড়াল।
আর বুকের গহীনে ধরে পুষলাম যারে,
সে নিল না সময় ছাড়তে আমারে;
হঠাৎ দেখি বক্ষ-ভেতর ভীষণ শূন্যতার ঝড়,
হৃদয়, কলিজা সব খেয়ে হয়েছে সে পর,
আমার সাথে সে বাঁধবে না আর ঘর।

গভীর রাতে শেয়ালের হুয়াক্কাহু হাঁক,
আমার কানে লাগে ক্ষুধার্ত মানুষের ডাক।
একদিন তুমিও হাত মেলে ডেকেছিলে,
আমি ছুটে সাড়া দিয়েছিলাম তোমায়;
অতঃপর মম সর্বস্ব খেয়ে ক্ষুধা মিটালে।
ভুখ মিটে গেলে মুখ ফিরিয়ে নিলে,
তোমায় ধরে রাখার সব চেষ্টাই বিফলে।

আমার পোষা কুকুরটাও বড্ড বিশ্বাসী,
কিন্তু মানুষরে বিশ্বাস করে হেরে যাই।
আমার কান্নায় অবলার চোখেও জল,
আর তোমার চোখে আমি যেন চক্ষুশূল।
এ কান্না তোমায় না ফেরাতে পারলেও,
ফেরাবে দিনেক অনুরাগের প্রচণ্ড অভাবে;
কিন্তু সেদিন যে বড় দেরি হয়ে যাবে।

তৃষ্ণার্ত বাঘকে জল খাইয়েছিলাম,
জল পান করে বাঘের কৃতজ্ঞতা দেখলাম।
সেদিন থেকে বাঘটাও বন্ধু হয়ে গেল;
অথচ সব দিয়েও তোমায় জয় করা গেল না!
মানসিক স্বস্তি, ভালোবাসা, মায়া সবই পেলে,
তবুও সময়ের ব্যবধানে অচেনা হয়ে গেলে।
তবে কি সত্যিই ছিলে তুমি আমার ভুল মানুষ?


রচিত: ১২ মার্চ ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।