আমি তাড়িত আমি পীড়িত, আমি ভাবুকতায় জড়িত,
অহরহ ভাবনারা আমায় করে তাড়া;
আমি ভাবি না বিন্দু, তবু আমার মস্তকে ভাবনার সিন্ধু,
যার বাধ্যে আমি সাধি হয়ে আত্মহারা।

আমি বাধ্যবাধকতায় বন্দী, ভাবনারা আমাতে করে সন্ধি,
আমাতেই জাগে যত নব ভাব কন্দি;
আমি নবসূত্রের আঁটি ফন্দি, আমি মিথ্যার চির প্রতিদ্বন্দ্বী,
এ ভাব নিংড়িয়ে আমি ছড়াই সুগন্ধি।

বাস্তব অবাস্তবের মহা যোগসূত্র যত আমাতে করে ভর,
যার সমাধানে আমি নিরলস করি দর;
হোক সে দ্বন্দ্বাকার যতই প্রকট অনির্মল কঠিন পাথর, আমি মিটায়ে অজ্ঞতা সৃজি নব ভূধর।

দুই নয়নে দেখি যা আমার সবই যেন ভাবনার বিচিত্র রং,
আমি ভাবতে-ভাবতে মিশাই স্বীয় অহং,
অতঃপর মস্তিষ্কের তুলি দিয়ে নিজেকে সাজাই বিবিধ সং:
মনঃকষ্ট মুছে মানবতার ঘোচাই হৃদ-জং।

এ ভাবনারা মানবতার তরে প্রতিনিয়ত করে চলে যুদ্ধ,
মনুষ্য কলঙ্কের কক্ষপথ করতে অবরুদ্ধ;
নব-নব গিরি অম্বুধি আগ্নেয়গিরি রচি রচনাশৈলীর মধ্য,
এ ভাবনারা দুর্বৃত্ত তরে চিরাচরিত ক্রুদ্ধ।

আমি ভাবি না, ভাবায় আমাকে এই অসমাঙ্গে নিপতিত বিশ্ব,
রাগায় সুর অসুরের দাঙ্গা হাঙ্গামার দৃশ্য;
কবে হবে এই সুর অসুরের সন্ধি! ক্রমেই হচ্ছে পৃথ্বী নিঃস্ব,
ভাবনারা করে তাড়া দর্শি পৃথ্বী-খরা-গ্রীষ্ম।


॥ রচিত: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, আপন নীড়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ॥