কেউ কেউ জীবনে
সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরিয়ে যায়,
—তুমি হচ্ছ তাই।
তোমার আগমনে তেমন কিছু টের না পেলেও
যাবার বেলায় ঠিক ক্ষতবিক্ষত করে গেলে।

তুমি ঠিক বন্দুকের বুলেটও হতে পারো,
সামান্য ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে
বেরনোর বেলায় মাংস ছিঁ‌ড়ে মুড়ে নাও;
তারপর আমার মৃত্যু নিশ্চিত করো,
সত্যিই তুমি বন্দুকের বুলেট।

তুমি আমার বুকের ভেতর ব্যথার উপসর্গ;
ডাক্তার দেখাতে গিয়ে রিপোর্ট পেলাম:
হৃৎপিণ্ডটা পুড়ে গেছে ষোল আনা,
আর মৃত্যুর সুসংবাদটাও দিয়ে দিলো
যখনতখন বন্ধ হতে পারে হৃদস্পন্দন।

তুমি ঘুমের মাঝে কালাচ সাপের কামড়;
তব দংশনে পিপীলিকার কামড়ের ব্যথা,
অথচ ভয়ঙ্কর নিউরোটক্সিন বিষ
স্নায়ুতন্ত্রকে অকেজো করতে থাকে;
আর এভাবেই নিরবে ঠিক খুন কর।

তুমি আমার বিশুদ্ধ জল ভেবে বিষ পান;
ঢকঢক করে গিলে খেয়ে দেখি:
জনমের তরে তৃষ্ণা মিটে গেল আমার।
আর লোকে নাম দিলো ‘আত্মহত্যাকারী’;
আত্মহত্যা করিনি আমি, তবু মরতে হলো।

তুমি ভয়ঙ্কর সুন্দরী পেত্নি;
এক হাজার বছর ক্ষুধার্ত থেকে আমায় পেলে,
সবটুকু রক্ত খেলে, সুখ খেলে।
শুনেছি মানুষকে সুখে থাকতে ভূতে পায়,
আর আমায় পেল পেত্নি।

রচিত: (তৃতীয় প্রহর) ১২ মার্চ ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭