তোমারে পাইয়া গেলে কী হইত!...
হইতে পারত অনেককিছুই!
তোমার সিদ্ধান্ত নিতে হইত সবকিছুতেই;
আর এখন দেখ, আমার ভাবনায় আজ আমিই রাজা;
সম্মতি নিতে হয় না কারো।
ইচ্ছে হলেই তোমায় ধরি,
ইচ্ছে হলেই উড়াল দিই তোমায় নিয়ে দূর আকাশে।
ইচ্ছে হলেই চুমু খাই তোমার কপালে;
এ এক অন্য রকম উপলব্ধি!
কল্পনার অসীম রাজ্য আর আমিই রাজা কেবল;
রাণী-বিহীন আপেক্ষিক রাজ্য আমার,
নেই সীমানা কিংবা শত্রুর ভয়,
কারণ, এ রাজ্যে শুধু আমিই
আর আমার আপেক্ষিক ভালোবাসা।
তোমারে পাইয়া গেলে কী হইত!...
হইতে পারত কত কি!
তোমায় হারানোর ভয় সারাক্ষণ ধেয়ে বেড়াত,
আর আজ দেখ, কিচ্ছু হারাবার নেই কোনো ভয়;
তুমি শুধু আমার, একান্তই আমার।
এ বুকে রেখেছি তোমায়,
কেউ নিতে পারবে না ছিনিয়ে,
এমনভাবে আঁকড়ে ধরেছি তোমায়,
কেউ পারবে না ভোলাতে।
তোমায় নিয়ে শুরু যে স্বপ্ন যাত্রার মহারথী,
তুমিই থাকবে হয়ে আমার চির স্বপ্নসারথি।
আমি বাস করি এই দেহে কিংবা পাতালে,
চিরকাল তুমি আমার, কেবল আমারই;
কারণ: তুমি যে আমার আপেক্ষিক সংসারের ঘরনী।
তোমারে পাইয়া গেলে কী হইত!...
হইতে পারত অনেককিছুই!
তোমার খেয়ালখুশি কাছে টানতে, ভালোবাসতে;
আর এখন সারাক্ষণ তোমায় ভালোবাসি,
দিনরাত তোমার সাথে সংসার করি।
ইচ্ছে হলেই তোমায় ছুঁই, আদর করি পরাণ ভরি;
সারা রাত্র জাগিয়া গল্প করি,
সে হোক সুখের কিংবা তোমায় হারানো বিরহের।
তবুও তোমারে পাইয়া গেলে কী হইত!...
হয়ত ভালোবাসতে-বাসতে অনিচ্ছা হইয়া যাইত।
হয়ত ভালোবাসা কমিয়া যাইত, হয়ত পুরোনো হইত,
আর আজ দেখ, তোমার শূন্যতা আমায় ঘিরে রেখে
এক মুহুর্তও ভুলতে দেয় না তোমায়।
ভুলতে গেলে আরো জেগে ওঠে ব্যাকুলতা,
আর তুমি জড়িয়ে রাখ আমায় হয়ে মাধবীলতা।
তোমারে পাইয়া গেলে হইত না জানি কত কি!
রচিত: ২৩ আগস্ট ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা -১২০৭