তোমার লেখা ডায়েরিটি
এখনো আছে টেবিলেতে;
যখন ইচ্ছে করে বলতে কথা তোমার সাথে,
মিটাই তৃষ্ণা ডায়েরিতে।
তোমার লেখা প্রতিটি বর্ণ
আমার সাথে কথা বলে;
শুকনো পাপড়ির রঙে পাতা না ভিজলেও,
ভিজে ঠিক নয়ন-জলে।
গ্রীষ্ম হতে ফুরাল বসন্ত,
ঝরিল ফুল যত ফুটন্ত;
কিন্তু তোমার সনে হলো না দেখা কভু আর,
তবুও তোমাতে ডুবন্ত।
কই গো তুমি প্রিয়তমা?
আর কি ফিরবে না?
নতুন কথার ছন্দ দিয়ে আমার জন্য ফের
ডায়েরি কি লিখবে না?
আমার কাছে তুমি মানে
এখন কেবলই বর্ণগুলো;
আর তুমি তেপান্তরে তবু এ অন্তরে রাখি
বুকে মাখি ডায়েরির ধুলো।
সে তুমি কার বুকে যেন
আজ এঁকে দিচ্ছ প্রেম;
হয়ত আসবে না কোনোদিনও ফিরে তুমি,
জানবে না কী ছিলেম!
তবু ভালোবাসি তোমায়,
তাই লেখি এখনো শায়েরী;
তুমি আছ মন-মঞ্জিলে, আছে সমস্ত স্মৃতি,
আর তোমার লেখা ডায়েরি।
রচিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭