তোমারই খোঁজে
আমি যে রোজে
ছুটছি খরা-রোদে;
আর তুমি যেন হারাও কিসের প্রতিশোধে!
তোমারই তরে
ভুগছি রে জ্বরে,
তুমি কী করে
আছ অদ্যাবধি দূরের ওই লুকানো শহরে?
তোমার লাগি
এ মন বিবাগী,
উদাস সারাক্ষণ;
তুমি আবেগ জড়িয়ে কেন হলে অপসারণ?
তোমার সাধ
বড্ড অবাধ,
করলে বারণ:
আরো তীব্র আকাঙ্ক্ষায় উদ্বিগ্ন হয় অকারণ।
তোমার হাসিতে
নিস্তব্ধ নিশিতে
ঝরত জোছনা;
সে তুমি কিসের টানে অমাবস্যা করলে রচনা?
তোমার ওই চুলে
অভিমান যত ভুলে
গেঁথেছিলাম ফুলে;
সে ফুল তুমি কারে বরণ করতে নিলে খুলে?
তোমার ওই স্বপ্নে
যে আসে আজ যত্নে,
বোলো তারে অভয়ে:
‘তুমি ছিলে কারো রূপকথার মহারাণী হয়ে’।
ওহে মায়াবতী,
হতো কী ক্ষতি?
থেকে যেতে যদি,
ওপারেই সব সুখ ভেবে তুমি ঝাঁপ দিলে নদী!
ওহে প্রাণপ্রিয়!
তুমি জেনে নিও,
প্রতীক্ষায় আমিও;
যদি ওপারে না সুখ পাও তবে ফের ঝাঁপ দিও।
যদিও না ফেরো,
এই প্রতিজ্ঞা দৃঢ়:
আমি ঠিক রোজে,
ছুটতে থাকব আমৃত্যু প্রিয় তোমারই খোঁজে...
রচিত: ২৮ জুলাই ২০২২, বেনারসী পল্লী, মিরপুর সেকশন-১০, ঢাকা-১২১৬।