সময়ের স্রোতে বয়সের কচুরিপানা
চলছে ছুটে মৃত্যুর মোহনায় সাঁই সাঁই;
আর এখনো আমি কলম ধরে ভাবছি:
অধরাকে ধরার মন্ত্র কোথায় যে পাই!
চঞ্চল বদনে দুরন্ত ছুটে চলা অফুরন্ত তেজস্বী মেয়ে,
ফুরয় না যার প্রাণবন্ত উচ্ছাস উৎফুল্লতা পড়ে বেয়ে।
যার চাঞ্চল্যতায় ভরে উঠবে আমার নিস্তব্ধ বসুন্ধরা,
শত ললনার ভিড়েও আমি তোমাকে খুঁজছি অধরা।
আমি সময়ের যুদ্ধে এক ক্লান্ত যোদ্ধা!
তোমার খোঁজে হয়ে যাযাবর পথিক,
আমি পথহারা, রথ-হারা, ছন্নছাড়া,
আর দিশেহারা হয়ে ছুটছি দিগ্বিদিক।
অথচ তুমি হয়ত কোথায় যেন আছ মেতে দুষ্টুমিতে,
জগতশ্রেষ্ঠ দুষ্টু তুমি, সময় নষ্ট করছ লুকোচুরিতে।
ময়ূরকণ্ঠী স্বরে বলবে কবে? “এসে গেছি, কেঁদনা!”
তব একটা হাসিতে ভুলে যাব সাত জনমের বেদনা।
বয়সের সংখ্যাটা ক্রমেই হচ্ছে বর্ধন,
যদিও যৌবন অব সর্বসাকুল্যে বন্দি;
একদিন বাজবে যৌবনের সাইরেন,
অনতিবিলম্বেই তুমি এসে কর সন্ধি।
নইলে তোমা সৌন্দর্যের সমীকরণে হবে মূল্যস্ফীতি,
যেই সৌন্দর্য শতাব্দীর সব প্রেমিকের লালিত রীতি;
সেই সৌন্দর্যের অবক্ষয় যেন না হয় তব অবহেলায়,
ওহে নব-যৌবনা, এস অধরা ডাকছি এহেন বেলায়।
তোমার তৃষ্ণায় এক সাগর সলিল
করেছি পান তবু তৃষ্ণাটা মিটল না;
স্বপ্নে আসা ওহে রূপকথার ললনা,
তব দর্শন এখনও বাস্তব হলো না!
তুমি যে অধরা, ধরা কি তোমায় যাবে না স্বপ্ন বৈ?
নাকি থাকবে হয়ে আজীবন কেবলই এক স্বপ্নময়ী?
তবু আমি জন্ম-জন্মান্তরে রবো প্রতিক্ষায় পরম্পরা,
তুমি আসবে, এসে হাসবে, আর আমায় বলবে:
—“এই তো অধরা!”
রচিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।