যাহারে সাধিয়া গেলাম কাঁদিয়া,
রাখিতে না পারিলাম রে বাঁধিয়া;
গেল সে চলিয়া কিছু না বলিয়া,
চাহিয়াছিনু যাহারে হৃদয় খুলিয়া;
তবুও সে ভালোবাসিল না।
কাহারে পাইয়া পড়িল ঝুলিয়া,
হারাইয়া গেল আমারে ভুলিয়া;
রজনী জাগিয়া যাহার লাগিয়া,
করিনু প্রতীক্ষা নিদ্রা ত্যাগিয়া;
তবুও সে কাছে আসিল না।
যাহারে পাইতে ভিড়াইলাম নাও,
কাড়িয়া সে নিল মম জীবনটাও;
নিথর দেহ-খানা নাওয়ে করিয়া,
ভাসাইয়া দিলো অকুল দরিয়া;
তবুও তার হৃদয়ে বাঁধিল না।
আমি রইলাম ভাসতে ভাসতে,
সে চলিয়া গেল হাসতে হাসতে;
আকাশ পাতাল করি একাকার,
দিলাম এক মহা আর্ত-চিৎকার;
তবুও তার পরাণ কাঁদিল না।
যাহারে ভাবিয়া জীবন ভরিয়া,
ছুটিলাম দিনরাত হইয়া মরিয়া;
কিসে তাহার দেখিব একটু হাসি!
তাহার হাসি যে বড়ই ভালোবাসি;
তবুও সে একটু হাসিল না।
কাহারে যে তাহার ধরিয়া মনে,
আগুন দিলো আমার ভুবনে;
পোড়া হৃদয় নিয়া কত গেলাম!
আর গুঙিয়ে গুঙিয়ে কাঁদিলাম;
তবুও সে ভালোবাসিল না।
রচিত: ৩০ জুন ২০২৩; পিতৃভবন, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।