রাজাকার পাকবাহিনীর প্রাণ করিয়া নিপাত-ম্লান,
মাতৃভূমির বক্ষে মোদের স্বাধীন পতাকার উত্থান।
মোরা কথায় নয়, কর্মে বিশ্বাসী, করিয়াছি প্রমাণ,
প্রাণ ত্যাগিতেও পিছু হটিনি রাখিতে দেশের মান।

মোরা বাহান্নতে বিশ্ব-দ্বারে দেখাইয়াছি নব চমক,
সেই ধারাতেই গর্জে উঠে মোদের জাতির জনক।
আমরা বাঙালি অদম্য আর আমরা যে বলিয়ান,
আমরা রাগী অবাধ্য আর আমরা যে তেজিয়ান।

ভিনদেশী কোনো হায়না তাই পায়নি কভু রেহাই,
অদ্যাবধিও সেই স্মারনীর নেবই যে মোরা ঠাঁই।
পক্ষে মোদের মহা শকতি বাংলা মায়ের দোয়া,
লক্ষ কুর্নিস মা তোমায়, হতে দাওনি বঙ্গ ক্ষোয়া।

বক্ষ-মানিক সঁপিয়াছ বন্দুক-গোলাবারুদের মাঠে।
মা গো ভয় করনি হতেও লাশ দেশদ্রোহীর হাতে।
স্বাধীনতা সংগ্রামে মোরা সৃজিয়াছি কালের দিগন্ত,
বাংলার আকাশ মুক্ত রাখতে মোরা সদা প্রাণবন্ত।

মুক্তির শপথে অটুট বাঙালি ছুটে চলে রাত্রি-বিহন,
বীরের জাতির হুঙ্কারে হয় বিশ্ব মানচিত্রের নবায়ন।
বাঙালি করে না কভু নত মাথা দিলেও রক্ত প্রাণ,
লড়তে রাজি রুখতে পাজি রক্ষিতে স্বাধীনতার মান।


রচিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৭; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।