আপনার কাছে টাকা নাই, তাই সুখ নাই;
আপনার কাছে টাকা আছে,
কিন্তু সুখ করার সময় নাই;
আপনার কাছে প্রচুর সময়ও আছে,
কিন্তু তখন আপনার জীবন নাই!
কারোই সুখ নাই, কোথাও সুখ নাই।
আমি নাই, আপনি নাই, পৃথিবীও নাই;
তবে আমরা সুখ খুঁজতে কোথায় যাই?
এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডও নাই,
তবে সুখের অস্তিত্ব কি আছে?
নাই, নাই, নাই, সুখের অস্তিত্বও নাই;
কারণ, সুখকে ধারণ করার পাত্র নাই।
তবে কিসের লোভে মরিয়া হয়ে ছুটছি দিগ্বিদিক?
মৃত্যুর লোভে, একটা মৃত্যুর খোঁজে পৃথিবীতে এসেছি;
কারণ মৃত্যুই একমাত্র দিতে পারে চির শান্তি, সুখ।
একটা মৃত্যু্র কাছে জীবনটা অতি ঠুনকো,
বাতাস ভরা বেলুনের খেলনার ন্যায়,
বাতাস ধারণের ক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে সব শান্ত।
কী আছে জীবনের মূল্য? কী আছে সুখ সমতুল্য?
যা পেলে আজীবন সুখ একান্তে আমারই হবে!
নাই, নাই, নাই, কিছুই নাই।
সুখ ধারণ করার মতো আমার অনুভূতিই নাই;
আমার চোখ নাই সুখ দেখার, হাত নাই সুখ ধরার,
কোনো অঙ্গ নাই সুখের স্পর্শ বোঝার।
আমি এক সর্বশান্ত পথিক, ক্লান্ত ভবঘুরে।
নকল এক দৈহিক আবরণে সাময়িক অতিথি আমি,
আমার কোনো অর্থ নাই, বাঁচার মতো স্বার্থ নাই;
আমার ঠিকানাও পৃথিবী নয়, নিঃস্ব মুসাফির আমি।
এসেছি এক মিথ্যা সুখের নামে মৃত্যুর সন্ধানে;
মৃত্যু ব্যতিত কিছুতেই শান্তি নাই, সুখ নাই!
রচিত: ৯ এপ্রিল ২০২৩ ইং, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।