ষোড়শী তুমি যৌবনে উত্তাল ঢেউ খেলা মোহনা,
তোমার গতর ছুঁইতে অজস্র তরঙ্গের উদ্দীপনা।
তোমাতেই ছোটে যত প্রেম সন্ধানী প্রেমিক-দল,
তুমি রেখেছ করে এই ধরনীকে চির অন্ধ-পাগল।
তুমি কি বিষধর নাকি স্বপ্নচর? তুমি দ্বিধা-সংশয়!
ষোড়শী তোমার জন্য পায় না নাগর মৃত্যুর ভয়।

তোমার অনুসন্ধানে ছোটে কত ছন্দপাগল কবি,
তোমাকে চিত্রিতে কত শিল্পী আঁকে নানান ছবি।
তুমি সুন্দর এই ধরার শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্যের চেও বেশি,
তাই যত সুন্দর-পাগল যায় তোমার কোল ঘেঁষি।
অতি নৈকট্য হতে সৌন্দর্যকে করতে অবলোকন,
ষোড়শী তোমার জন্য ছুটে আসা এ নিষিদ্ধ ভুবন।

তুমি ভুবন ভোলানো আয়োজনে বড্ড পারদর্শী,
তব অবয়বের প্রতিটি সদস্যই বড্ড হৃদয়স্পর্শী।
তব রূপের ঝলক দেখে ভুলে যায় পথও পথিক,
আর গৃহস্থ দামাল হয়ে যাযাবর ফেরে পদাতিক।
দিশেহারা হয়ে পৌরুষের যুবক ছোটে দিগ্বিদিক,
ষোড়শী তোমার জন্য সৃজিত যা কিছু জাগতিক।

তুমি এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের তরে উদ্ধত চির যৌবনা,
তুমি বিশ্বের বিস্ময় চির রহস্যময় অনন্ত মৌবনা।
তুমি ধার্মিকের ধর্ম ভোলানো সিদ্ধ-মন্ত্রণা-দাত্রী,
তুমি নরকের অগ্নি হয়ে পোড়াও পাপ-রথ-যাত্রী।
আবার তুমিই সবার স্বর্গবতী হয়ে ধরা কর শান্ত,
ষোড়শী তোমার জন্য মৃতরাও হতে চায় জ্যান্ত।

তুমি প্রসন্ন সাগরের বিষণ্ন ঢেউ হয়ে এ আমাতে,
আশ্রে পড় বারবার পাগল করতে ওই তোমাতে।
তুমি দিনের আলোয় সূর্য, রাতের কালোয় চাঁদ,
তোমার ঝলকে পলকে বহে দেহে শান্তি নিখাদ।
তুমি সব নয়নে নয়নাভিরাম অনুভূতির স্বপ্নকন্যা,
ষোড়শী তোমার জন্য হয় যত ভালোবাসার বন্যা।


রচিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯; বেদগ্রাম হতে কোটালীপাড়া গন্তব্যে চলমান বাস, গোপালগঞ্জ।