স্মৃতি স্মরণে এখনো যার জন্য দুফোঁটা অশ্রু খসে পড়ে নয়ন থেকে,
তাকে যে সত্যিকারের ভালোবাসতাম, অন্তর জেনে যায়।
যারে মনে পড়লে তার নষ্ট হয়ে যাওয়া আইডিটা খুলে
মেসেজগুলো পড়ে পড়ে হেসে ফেলি আবার কেঁদে আতকে উঠি,
সে তো নির্ঘাত সখের মানুষই ছিল, জীবন জেনে যায়।

ভালো লাগে না, তারে ছাড়া ভালো লাগবে না এটাই তো কথা ছিল,
তবুও কেন তারে হারালাম? এই মস্ত ভুল কী করে হয়ে গেল?
নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রতিনিয়ত জেরা করি;
আর ভাবি: জগতশ্রেষ্ঠ আদালতে আমার
বিচার হয়েও যদি তারে ফিরে পাওয়া যেত,
তবে সর্বোচ্চ সাজা পেতেও আমি দ্বিতীয় বার ভাবতাম না।

ওহে সখের মানুষ! কার সুখের অসুখ হলে আমার সুখের ছন্দ নিয়ে?
আমি তোমার জন্য এখনো নতুন ছন্দ খুঁজে ফিরি,
কেবল সব দুঃখ হয়ে যায়, আর ভীষণভাবে কাঁদায়!
তোমার মতো আমায় কেউ বুঝবে না ধরায়,
এখনো বিশ্বাস করি তোমার জন্য আমি বসুন্ধরায়।

তুমি ভালোবাসা হয়ে জীবনে এসে দুঃখ হয়ে ফিরে গেলে,
আমায় তুমি নিজের নিশ্চিত করে তুমিই অন্যের হলে,
ভালোবাসার যত বুলি তোমার মিথ্যে করে গেলে চলে,
ফিরে আসার আশা বাঁধা বুক প্রতিটি মুহূর্তে ভেঙে চলছ,
কী ক্ষতি করেছিলাম? কেন এমন বাজেভাবে হারিয়ে দিলে?
আমায় হারিয়ে তুমি সুখে আছ তো কলিজার টুকরোটা?

রাত জেগে কবিতার সাথে তোমাশূন্য দুঃখ কই,
চোখদুটো অশ্রু ঝরিয়ে সে দুঃখ লাঘব করার চেষ্টা করে,
অশ্রু মুছতে মুছতে ভেজা কলমে আরো দু’লাইন লিখি:
‘চোখ জুড়ানো সখের মানুষ চোখের নদেই তোমার বাস,
এত ভালোবাস! চোখে জল দিয়ে শীতল কর বারো মাস।’

রাত্রি শেষে ঘুম ভেঙে উঠে দেখতাম যদি-
তোমায় হারানোর গল্পটা কেবলই এক দুঃস্বপ্ন ছিল;
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভুলে যেতাম সব জীবন-যাতনা।
হাজার বছর বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতাম আবার।
তোমায় নিয়ে ভালোবাসার কবিতা লিখতাম হাজার হাজার।
একটি গ্রন্থ লিখতাম: ‘আমার সখের মানুষ কেবলই আমার’।


রচিত: (মধ্যরজনী) ২৫ জুলাই ২০২৪; সোলাই, রিয়াদ, সৌদি আরব।