সভ্য নারীর ঘোমটা মাথায়
সদা নত শির,
ছোট্ট করে ফেলে চরণ
গতি অতি ধির।
গুরুজনদের মানে কথা
যা হয় তাকে বলা,
পরিবারের সবার তরে
খুবই যত্নশীলা।
সভ্য নারীর গায়ের শাড়ীর
আঁচলে ঢাকা শরীর,
তাতেই তারে লাগে আহারে!
যেন মতন পরীর।
ফ্যাশনে সে ডুবে না যে
সাদামাটা সাঁজ,
তবুও তারে লাগে ভালো
অন্যান্যদের মাঝ।
বাইরে না যায় মর্জি বিনে
অভিভাবকের,
মার্কেটে কি পার্কে যাওয়া
নয় রে অতি শখের।
সভ্য নারী হলে তাকে
সবাই ভালোবাসে,
সভ্য নারীর জন্যই তো
একটি পরিবার হাসে।
সৃষ্টির সুন্দর তুমি নারী
তাই হইও না আনাড়ি,
মানুষ বেশে হইও তুমি
একজন সভ্য নারী।
রচিত: ১৩ জুলাই ২০১৫; নিজ আঙিনা, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।