এক পৃথিবী প্রেমের গন্ধে এসেছিলাম ছন্দে ছন্দে,
হৃদয় মম ভরা উত্তাল অনুরাগে;
কিন্তু কোথাও কেউ নেই, একটা মন পাইনি ভবে,
চারিদিকে তাই শূন্য-শূন্য লাগে।

এক সাগর ভালোবাসা বহুকাল বুকে পুষে-পুষে,
আমি উচাটনে পুড়ি হুতাশনে;
বিলিবার মেলে না রে তবু একটা সুহৃদের খোঁজ,
পৃথিবীতে তাই যেন নির্বাসনে।

ভালোবাসাবাসি বুঝি ক্ষণিকের খেলা ধরাধামে,
কেউ থাকে না হৃদয় মাঝারে;
কেন আসে কেন বা যায় বুঝি না রে অধম প্রাণে,
বেহুদা নিজেরে দিই সাজা রে।

ভালোবাসাকে আমার জানাই হলো না আজও,
বোঝা হলো না কাউকে মানসে;
ছিল সাধ জীবনে কাউকে প্রচন্ড ভালোবাসতে,
কিন্তু উপায় হলো না আপসে।

জানি না কিসের দেয়াল মন বোঝাবুঝির ফাঁকে,
ফুল হয়ে এসে কাঁটা হয়ে বিঁধে;
অনেক সাধের ময়নাটারেও রাখা গেল না বেঁধে,
উড়াল দিল ঠোকর মেরে হৃদে।

তোমাকে এই হৃদয়ে জায়গা দিয়ে যদি হয় ভুল,
সে ভুল ছিল পৃথিবীতে আসা;
তোমায় ভালোবেসে আমার যদি হয় মহা পাপ,
সে যেন ঈশ্বরের ক্রূর তামাশা।

নিয়তির নিয়মে হৃদয় পোড়াপুড়ির যে ভ্রংশতা,
সে নিয়মের ভুক্তভোগী আমি;
আমি প্রেম বুঝি, ভালোবাসা খুঁজি অন্তর হ্রদে,
তবুও অন্তর দ্রোহের আসামি।

আমি যতই চাই ভালোবাসতে, ততই পাই দূরত্ব,
দূরত্বই বুঝি আমার চির প্রাপ্য;
জীবন যাবে বুঝি হেন মাকাল ফলের সান্নিধ্যে,
ভালোবাসা যেন মোর দুষ্প্রাপ্য।

চারপাশে কত মানুষ, কত প্রেম ভাসে বাতাসে,
কত প্রাণ নব যৌবনে জাগে;
তবু ভালোবাসা পোড়ে হুতাশনে মরে হাহুতাসে,
চতুর্দিকে তাই শূন্য-শূন্য লাগে।


রচিত: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০; নিজভবন, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।