কখনো বোধহয় ছিলে না আমার তুমি এখনো আমার নও,
তবুও ভাবি যেন ছিলে শুধু আমারই -তুমি আর যারই হও।
কারণ তোমার দখলে মোর প্রথম ভালোবাসার সিংহাসন,
যদি না হইবে মোর কেন দিলে মন কেন দেখাইলে স্বপন?

বড় আশা বাঁধিয়াছিলাম তোমায় লইয়া এ হৃদয় গভীরে,
এক কাঁথায় শুইয়া প্রতি রাইতে চন্দ্র দর্শিব ভাঙ্গা কুটিরে।
আর কুটিরখানা ভরিয়া দিব ভালোবাসার মোঁ-মোঁ গন্ধে,
অথচ আজ হৃদয়ে গাঁথা আশাগুলি জ্বলিছে বিরহ-ছন্দে।

বিশ্বাসের বুক চিরিয়া তুমি মোর হৃৎপিণ্ড করিলে ভক্ষণ,
তুমি ছিলে এক মহা সর্বনাশী আমি বুঝি নাই সে লক্ষণ।
তুমি যে মাংসাশী প্রাণ-নাশী ভালোবাসা খেতে অভিলাষী,
একটু দুর্বলতায় করিয়াছ স্বর্বসান্ত আমায় ওগো সর্বনাশী

তুমি নিষ্ঠুর, নির্দয়, নৃশংস, মায়াহীনা-অগ্নিবীণা পরবাসী,
তুমি মহা খুনি করিয়াছ খুন মোর হৃদয়-নিসৃত স্বচ্ছ হাসি।
তুমি অন্তরক্ষয়ী, ছলনাময়ী, তুমি যে অপ্রীতিকর বিষধর,
বসাইয়াছ ছোবল মোরে করিয়া বদ্ধ তব হৃদয় কারা-ঘর।

ভালোবাসি-ভালোবাসি বলিয়া করিয়াছিলে ঘোর পাগল,
কোথায় সেই ভালোবাসা তোমার কিসে হলো গণ্ডগোল?
কোন্ স্বার্থের সমীকরণে তোমার আজ লাগিল আঘাত?
কেন থমকে ‍দিলে আমার পৃথীবির স্বাভাবিক দিন-রাত?

তুমি মায়া-ডাকাতিনী করিয়াছ মোর মনের ঘরে ডাকাতি,
কেন হৃদয় ভাঙার মহোৎসবেই তোমার যত মাতামাতি?
আমি ফুল ‍দিয়া পাইলাম কাঁটা ছুটিলাম ভুলের পিছুরে,
এক মহা-সর্বনাশীর প্রেমে পড়িয়া হারাইলাম সবকিছুরে।

সর্বহারা এক প্রেমিক আমি ভব মাজারের চির ভবঘুরে,
আগে জানিলে তব হইতে থাকিতাম আলোকবর্ষ দূরে।
একটা হৃদয় ভাঙার অভিযানে তুমি যদি ছলনাময়ী হও!
তবে অজস্র মিথ্যার ভিড়ে একটা দৃঢ় সত্যি বলিয়া যাও:
                                —সর্বনাশী তুমি আমার নও!


রচিত: ১০/সেপ্টেম্বর/২০১৭ ইং, নিজ ভবন।