তোমার জন্য কেউ একজন বেজায় পাগল;
ভেবে যখন বুক ভরে তোমার,
ঠিক তখন আমি পুড়ে ছারখার!
তোমার জন্য কেউ এখনো আছে অপেক্ষায়;
ভেবে যখন হও বড় আনন্দিত,
ঠিক তখন আমি দাহ-জর্জরিত।
তোমার জন্য কেউ প্রতিদিনই নিভৃতে কাঁদে;
ভেবে যখন তোমার পায় হাসি,
ঠিক তখন আমি অশ্রুজলে ভাসি।
তোমার জন্য কেউ তার জীবন দিতেও রাজি;
ভেবে যখন তুমি হও উৎফুল্ল,
ঠিক তখন আমি দাহন-তুল্য।
তোমার জন্য কেউ রাত জেগে কবিতা লেখে;
ভেবে যখন ওড়ো হয়ে ঘুড়ি,
ঠিক তখন আমি ইটভাটায় পুড়ি।
তোমার জন্য কেউ গ্রন্থের পর গ্রন্থ রচনা করে;
ভেবে যখন গর্ব ওঠে উথলাই,
ঠিক তখন আমি পোড়া ছাই।
তোমার জন্য কেউ বিরহ ভারে হয়েছে বৈরাগী;
ভেবে যখন দিচ্ছ মৃদু হাসি,
ঠিক তখন আমি অগ্নি-চাষী।
তোমার জন্য কেউ নিজেকে দিয়েছে বিসর্জন;
ভেবে যখন মহান হও নিজে,
ঠিক তখন আমি জ্বলন্ত দ্বিজে।
তোমার জন্য কেউ হয়েছে ছন্নছাড়া যাযাবর;
ভেবে যখন রঙ্গ দেখ আমার,
ঠিক তখন আমি শিখা কয়লার।
তোমার জন্য কেউ বেঁচে থেকে মরে শত বার;
ভেবে যখন জাগে অহংবোধ,
ঠিক তখন আমি তপ্ত ক্রোধ।
তোমার জন্য কেউ অপেক্ষরত চাতক পাখি;
ভেবে যখন হও বড্ড উচ্ছ্বাসী,
ঠিক তখন আমি দগ্ধ উদাসী।
তোমার জন্য কেউ জন্ম জন্মান্তরে পথ চেয়ে;
ভেবে যখন প্রহসন কর বারবার,
ঠিক তখন আমি পুড়ে ছারখার!
রচিত: ৩০ জুন, ২০২৩; পিতৃভবন, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।