ওগো প্রিয়তমা মোহনা, ভালোবাসা লহ-না!
তুমি ছাড়া প্রাণহারা, মোর পানে চাহ-না!
তুমি মোরে ছেড়ে ওগো, কভু দূরে যেও নাকো,
রেখেছি তোমায় মন-মনিকোঠায় হেথাই থাকো।

তোমাতেই খুঁজে পাই, মোর স্বপনের ঠাঁই,
বুজে আঁখি আমি দেখি, তুমিহীনা কেউ নাই।
তুমি মোর মন চোর, না হতে জীবন ভোর,
বুক খুলে মন নিলে জানে না এ অন্তর-শহর।

বারে-বারে আমি তাই, তব দ্বারে ছুটে যাই,
রূপ-কায়া নই মন-মায়া ঐ, শুধু পেতে চাই
তোমার নাম কি মোহনা, নাকি স্বর্ণের গহনা?
ইচ্ছে করে তোমায় স্মরে থাকি সদা আনমোনা।

করিলে কি মোরে জাদু, নাকি রূপে নিলে মধু?
আমি কেন রাতে স্বপনেতে দেখি তুমি মোর বধু!
মন চাহে না রে বদন, যেন রহে অটুট এ বাঁধন,
তোমা লাগিয়া নিশি জাগিয়া সাধি সেই সাধন।

যদি চাও তোমার লাগি রব চির বৈরাগী,
হয়ে সতি মোর প্রতি হও যদি অনুরাগী।
এক দেহে মোর এক জীবন আর একটাই মন,
সেই মন জানি না কখন হতে করছে উচাটন।

ওহে মোর প্রিয়া রে, চায় তোমায় হিয়া রে,
যাও ধন্য করিয়া রে, তোমার মন দিয়া রে।
ও প্রিয়তমা মোহনা, মোর এ বুকে রহ-না!
প্রেম-চাদরে খুব আদরে রাখিব, অহো না!

বোঝ না কি প্রাণপ্রিয়া, যায় কেন মোর হিয়া!
তব দ্বারে ছুটে বারে প্রেমের খামে বার্তা নিয়া;
ভালো যে তোমায় বাসি, হৃদে প্রেম রাশি রাশি,
না পারি ভুলিতে মনের তুলিতে আঁকি তব হাসি।

তুমি যে মুগ্ধকারীনি, মোহনা নয় যেন মোহিনী!
তব চাহনিতে মম পাগলামিতে ঘটে কত কাহিনী!
সেই কাহিনীর পরশে, তোমায় পাবার হরষে,
ঘুম গেল উড়ে তুমি খেলে মুড়ে, ভরালে মন রসে।

কথা দাও ভালোবাসিবে, খুব কাছে আসিবে,
মোর ঘরে মিষ্টি করে তুমি পাশে বসে হাসিবে;
ওগো প্রিয়তমা মোহনা, শুধু একবার কহ-না!
তুমি আমার, আমি তোমার, মাঝে আর কেহ না!


রচিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫; নিজ ভবন, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।