কেন আজ তারে দেখা যায় না?
সে কি তবে অন্যের প্রিয় আয়না!
সাজায়ে রাখল তারে কোন সে গোপন ঘরে!
বহুকাল আয়না দেখা হয় না মম নয়ন তরে।
হারিয়ে গেছে মোর আয়না-খানা,
কোথা যে হরালো রইল অজানা।
কেন দৃষ্টিরা তারে খুঁজে পায় না?
সে কি তবে অন্যের সেরা বায়না!
ধূম্রজালে আটকে তারে রাখিছে বারো মাস,
অথচ মম বাগানে এখনো হয় তার প্রেম চাষ,
শুধু চুরি হয়ে গেছে বায়নাগুলো,
করেছে চারপাশের হায়নাগুলো।
কেন প্রিয়-সবকিছু খালি চুরি যায়!
সখের জিনিসটাই কেন যে হারায়!
কোন্ সে মায়াজালে করল বন্দি মম প্রিয়ারে!
বুকে জ্বলন্ত শিখায় জ্বলছে এ প্রেম-হিয়া রে।
তবু দু-নয়নে তার দেখা নাহি মিলে,
বইছে গ্রীষ্মের তীব্র খরা এই দিলে।
এলোমেলো ঘর আমার ধুলোজমা,
হারিয়ে গেছে সাজানো প্রিয়তমা।
ভাঙাগড়া মম আয়নায় কে অধুনা শান্তি পায়,
অশান্তির শেকড় আমার বুকেতে গেঁথে হায়!
আমি আলোক-বিহীন যাচ্ছি মুড়ে,
তার হতে লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে।
কত জটিল ধাঁধার হলো সমাধান,
তবু মম সমীকরণের মিলেনি প্রাণ;
মিলিয়ে নিয়েছে সে তার জীবনের সমীকরণ,
আমার জীবন ঠেলে দিয়ে নিরুদ্দেশে আমরণ;
দেহ আমার মাংসের এক কফিন,
ভেতরে এক লাশের বাস চিরদিন।
দেখা যায় না মম প্রতিবিম্বটা আর,
দর্পণ-বিহীন জীবন নিকষ আঁধার।
আজ শুধু স্মৃতি, মম একটা প্রিয় আয়না ছিল,
যে আয়নায় আমার প্রতিবিম্ব প্রেমে ফুটেছিল;
সে আয়নায় আজ অন্য মুখ ভাসে,
অন্য কেউ সমুখে দাঁড়ায়ে হাসে।
রচিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।