আমি হাঁটতে পারি না,
আমি কেন আমার পথে হাঁটতে পারি না?
আমি তো হাঁটি, হাঁটছি;
যে পথে হাঁটতে চাই, সে পথে নয়, অন্য কোথাও।
—আচ্ছা, আমি আমার পথ খুঁজে পাই না কেন?
যে পথে আমি নিজের জন্য হাঁটব,
নিজের পায়ে হাঁটব এবং অক্লান্ত হাঁটতেই থাকব।
আমি কেন বারেবারে পথ হারাই!
যে পথে আমি আপনারে খুঁজে পাই,
সে পথ কেন আমি খুঁজে পাই না?
পেলেও কেন পিছলে যাই, অথবা হোঁচট খাই?
আমি কি হতভাগা! সত্যিই কি আমি ভীষণ হতভাগা?
নাকি দিনশেষে হব সে কাঙ্ক্ষিত পথের কাণ্ডারি?
তবে কি মম আমিকে করতে পারব আবিষ্কার!
আমি কেন বারেবারে লক্ষ্যচ্যুত হয়ে যাই?
কেন আমার পথে আমি নাই?
ভীষণ করে আমি যা চাই, কেন তা হারাই?
আমি আমার ভূষণ কবে ফিরে পাব?
কবে স্বাচ্ছন্দ্যে চির-চেনা পথে হাঁটব?
ও পথে যেতে কেন এত কাঁটা বিছানো?
যতই কাঁটা বিধুক পায়ে, তবু আমি হাঁটব।
হেঁটে-হেঁটে কত পথ দিলাম পাড়ি!
জানি না আছে আরো কত পথ বাকি;
যেদিকে তাকাই, অহরহ পথশাখা দেখতে পাই,
পথ পাল্টাই, অন্য পথে যাই, পথে-পথে হারাই।
‘পথহারা ভবঘুরে’ লোকে বলে তাই,
দিশেহারা, বিষে ভরা পুরো জীবনটাই;
তবু আমি আমার পথ চাই’ই চাই।
রচিত: ০৯ অক্টোবর ২০২৪; সোলাই-১৮, আল-মাশায়েল, রিয়াদ, সৌদি আরব।