পরাণে তারে বান্ধিয়া,
জীবন গেল কান্দিয়া;
ভালোবাসার অপরাধে আজই কাঠগড়ায় আমি;
কোন্ সখের বশে হলাম রে মৃত্যুদণ্ডের আসামি!
এ জীবন যারে চাইল,
তারে নাহি সে পাইল;
চাতক পাখির মতো এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায়
আসমানের পানে চাইয়া জীবন গেল নিরাশায়।
জীবন তো ছোট্ট অতি,
হতো তার কিবা ক্ষতি!
যদি তার পরাণে আমার পরাণটারে বান্ধিতাম,
পাখি চাইলেই তার এক কথাতে জান দিতাম।
এত প্রেম যার লাগি,
সে তো ঠিক হতভাগী:
না পাইয়া মোর ভালোবাসার এই অসীম রাজ্য;
স্মরিতেই হবে এই ভালোবাসা না করিয়া গ্রাহ্য।
যার লাগি বাঁধি নীড়,
সে তো কালা-বধির;
শুনিল না দেখিল না বলিল না কথা আর ঘুরে,
যত ডাকিলাম পথ চাইয়া থাকিলাম গেল উড়ে।
পাইলে পরাণ-পাখিরে,
হইতাম বড্ড লাকি রে!
এই জীবনে অপূর্ণতার থাকত কি আর বাকি রে!
কেন যে দিলো সাধের পাখি খাঁচা থুয়ে ফাঁকি রে!
যদি ফেরে পরাণ-পাখি,
দেবো তারে ঠিক রাখি;
আবার বাঁধিব বাসা নতুন করে পুরোনো শহরে,
চেনা হৃদয়ে তারে দিয়ে ঠাঁই ডুবাব প্রেম নহরে।
ফিরে এস পরাণ-পাখি,
লাগছে রে বড্ড একাকী!
সৌরজগত যেমন সূর্য বিনা যায় না করা কল্পনা,
তেমনি তুমি আমার দীপ্তি, জীবনের সব জল্পনা।
রচিত: ৩০ জুন, ২০২৩ ইং; স্ব-নীড়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।