ওহে প্রাণপ্রিয়!
ভাবিছ ঠকিয়ে দিলে মোরে,
কিন্তু পৃথিবীটা যে বৃত্তাকার তুমি জেনে নিও;
চব্বিশ ঘন্টা এই গ্রহ ঘোরে,
বুঝিবে তুমিও!
আসিবে তব ক্রোন্দন ক্ষণ,
মনে পড়বে সেদিন তব আমার কথা দেখিও;
চাইবে ফিরে আমায় তখন,
অন্যের যদিও।
ওহে বহুরূপী!
ভাবিছ ঠকিয়ে হবে রে সুখী,
মীর জাফর সেও তো পরেছিল নবাবী টুপি;
কে আছে তার মতো দুঃখী?
কোথা গেল চুপি?
ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ কলঙ্ক তার,
তুমিও মিনি মীর জাফর, জ্বেলে ছল-কুপি;
নিয়েছ পল্টি তুমি বারবার,
বেলাহাজ রূপী।
ওহে মহা-ঠক!
ভাবিছ ঠকিয়ে দিলে হারিয়ে,
কিন্তু ভালোবাসা কভু হারে না রে প্রতারক;
হেরে যায় ভালোবাসা মাড়িয়ে-
যাওয়া পলাতক।
মানুষ চিনে না রে সেই জনা,
প্রকৃত ভালোবাসার ধন পেয়েও যেই লোক-
ছোবল মারে তুলে সর্প-ফণা,
সে তো আহম্মক।
ওহে ধোঁকাবাজ!
ভাবিছ ঠকিয়ে গেলে জিতে,
কিন্তু হারজিতের হিসেবে তুমি যে ব্যর্থ জাজ;
জানো না ভালোবাসা নিতে,
তাই তো নারাজ-
মানতে নিজ দোষে নিজ হার;
সত্য ভালোবাসা হারিয়ে দিশেহারা তুমি আজ;
এ যন্ত্রণায় হবেই তব বক্ষ ভার,
ওহে পল্টিবাজ!
রচিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭