রাত্রি পোহাবার আগে,
পাখিরা ওঠে জেগে;
বৃক্ষডালে করে ডাকাডাকি,
সেই ডাকে উঠি আমি জাগি।

মুছে আঁখি বাগে দেখি কত!
ফুটিছে রঙিন ফুল শত;
করিছে সৌরভ ছড়াছড়ি,
আমি সেথা গিয়ে তাড়াতাড়ি-
তাদের সনে আনন্দেতে মাতি,
তখন রঙ্গ বিচিত্র প্রজাপতি,
এসেই ছুটে বাগিচায়,
ফুলের রেণু মাখে গায়।

ভ্রমরও সেই তালে-তালে,
এসে মধু ভরে গালে;
আর ঠিক এমন সময়,
পুর্ব দিগন্তে সূর্যোদয়,
বৃক্ষের আড়ালে উকি দিয়ে,
জাগে সোনালী রৌদ্র নিয়ে;
করে ধরা আলোকিত,
সবে কাজে নিয়োজিত-
হয়ে যায় যার-যার,
খেয়ে বিহন-খাবার।

ফের সূর্যটা অস্তে গড়িয়ে,
যবে মধ্যাহ্ন যায় ফুরিয়ে,
তখন বিকেল আসে নেমে,
আর সব কর্ম যায় থেমে।

সূর্যটা রক্ত কুমুম হয়ে,
যবে পশ্চিম দিগন্তে গিয়ে,
লুকায় রঙিন আলো নিয়ে;
তখন সন্ধ্যা আসে ঘনিয়ে।
আর নিস্তব্ধ পৃথিবীটায়,
ঘোরাছন্ন করে রাতের মায়ায়।


রচিত: ২৭ জুলাই ২০১৫: নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।