হৃদ পাথারে আমি যাহারে হেরি,
তাহারে ধরিতে হইয়া যায় দেরি।
জিতিতে ভাবি যাহারে, আমি তাহারেই হারি,
অভাগিনী পার্শ্বে থাকিয়া যায় করিয়া আড়ি।
ধরিতে চাহি যাহারে -ধরিতে কি আর পারি‌!
তৃষিত অন্তর যাচিত সুন্দর হারায় বরাবরই।

বিহনে, সাঝে, রাইতের নিভৃতে,
কে যেন আসিয়া হৃদয়-গণ্ডিতে
হৃদয়ের প্রধান ফটক খুলিতে করে ঠকঠক,
তবু আমার দেরি হইয়া যায় খুলিতে ফটক।
যাহারে চাই না শুনিতে, করে পার্শ্বে বকবক,
আর যাহারে শুনিতে পাগল, দিয়া যায় শক্।

যে জনার বাস মম চিন্তা-ভাঁজে,
কাছে যাইতে তাহার মরি লাজে।
যেই ললনা নিজেই ইশারায় কত কথা কয়,
তবু বুঝিতে বড্ড দেরি হয়, -জাগে সংশয়।
আর যাহারে এড়াইতে চাই সে সংসার লয়,
জানি না ক্ষোয়া কপাল আর কত হবে ক্ষয়।

স্বপনে যাহার নিত্য আনাগোনা,
তাহার লাগি কবির বহু জল্পনা,
তবু রচিতে তাহারে ফেলি বড় দেরি করিয়া;
যতক্ষণে রচিতে যাই সবটুকু ভাব নিংড়িয়া,
ততক্ষণে উপকরণ-সামগ্রী যায় দুঃখ হইয়া,
আর জনমের তরে তাহারে ফেলি হারাইয়া।


রচিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৪; সোলাই-১৮, আল-মাশায়েল, রিয়াদ, সৌদি আরব।