ঘুম ভাঙ্গার আগেই দুচোখের স্বপ্ন ভাইঙ্গা দিলা!
উড়তে শেখার আগেই ডানাগুলো বাইন্ধা দিলা!
পৃথিবী চেনার আগেই চার দেয়ালে করলে বন্দি,
প্রতিযোগিতা বোঝার আগেই তুমি হলে প্রতিদ্বন্দ্বী।

জীবন-খাতায় যোগের আগেই বিয়োগটা বুঝালে,
গুণের হিসাব না শিখিয়ে ভাগের অঙ্কই শিখালে।
ইচ্ছেগুলো পুড়িয়ে গ্রিল বানিয়ে ফেললে খেয়ে,
আমায় উড়িয়ে নীল গগনে খেলছ নাটাই পেয়ে।

ইচ্ছে বড় বিশ্ব দেখার তুমি দেখালে সর্ষে-খেত,
ধরতে চেয়েছি বর্ণিলতা তুমি দিলে কৃষ্ণ-শ্বেত।
যে জীবন ছিল স্বাধীনতাপ্রিয় বিহঙ্গ অবিকল,
সে জীবনকে তুমি পরালে বন্দি দশার শিকল।

তুমি ভেবে দেখনি এ আমাতে কতটুকু সঙ্গত!
শুধু নিজের মতো সাজিয়েছ ঢেলে তব রং যত;
আমি শান্তশিষ্ট তাই অক্ষুব্ধ মনে করেছি বরণ,
তুমি ভেবে নিয়েছ এমন বুঝি চলবে আমরণ।

না, না, না রে মূঢ়, বোকার স্বর্গে বাস যে তব!
দেয়ালে যদি পিঠ ঠেকে রে চলবে না রূল ভব;
সে বঞ্চনা পাবার আগে হয়ে যেও সংশোধন,
তবে তুমি পাবে সদা প্রাণপ্রিয় সেই সম্বোধন।

তবে দাও ফিরিয়ে আমার আমিকে এই মর্মে,
আমি আপনাতেই সুখ খুঁজে পাই স্বীয় কর্মে;
তাই আমায় সাধনায় বাঁচতে দাও শুধু মিনতি,
দোহাই লাগে বাড়িও না মম অকাল পরিণতি।


রচিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।