বাতাসে তোমার গন্ধ ভেসে বেড়ায়,
আমি প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোমাকে ভেতর বাহির করি;
আমাকে মুগ্ধ করে তোমার সুবাস,
একটি নিঃশ্বাস হতে তুমি রহিত হলে যেন আমি মরি!

এ চোখের পলকে তোমার বাস,
তোমায় দেখতে আমার লাগে না কোনো বাহ্য পলক;
তুমি নয়নাভিরাম রূপবতী কন্যা,
অতুল্য মোহিনী তুমি যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রূপের ঝলক।

তব ঝলকানিতে ঝলসি আমি,
জ্বেলেছ কী অঙ্গে তব? চন্দ্র-সূর্যেরা তোমাতে লুকায়;
যেদিকে তাকাই তুমি বিনা নাই,
তুমি-তুমি আর তুমি, তুমি ছাড়া দৃষ্টি কারেও না পায়।

তব চলনের পদধ্বনিরা আমায়
করে মুখরিত, যে ধ্বনি হৃদস্পন্দন সনে করে সংসার,
চারিপাশে সদা বিচরণ তোমার,
তবু দাও না দেখা একবার, কেন তব এত অহংকার?

ও! তুমি তো অহংকারী হবেই,
কারণ, তুমি যে জন্মেছ হয়ে সৌন্দর্যের শ্রেষ্ঠ উপমা;
তোমাতে বিমোহিত স্বপ্নবাজ,
তাই তো অদৃশ্য-অদৃশ্য খেলা বড্ড উপভোগ্য তোমা।

লুকোচুরিতে তুমি বড় সেয়ানা,
অনুভবে গড়ে বসতি কর স্বপ্ন-বেসাতি না দিয়ে ধন্না;
আমি তোমার স্বপ্নেই স্বপ্নবাজ,
দেখা দাও, দৃশ্যমান হও ছায়া জগতের অদৃশ্য কন্যা।


রচিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯; পল্লীবিদ্যুৎ, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪০