ও তোর চিরচেনা এই ভূতল পৃষ্ঠ,
পদতলের এই মৃত্তিকা তোর,
বড়ই আপন ভাবছিলি ঘোর;
ও তোর দম্ভ ক্ষণস্থায়ী।
-
যৌবনেরই উচ্চচাপে ফুলছে বাহু,
উঠছে শিরে স্পর্ধা প্রবল,
বাহুর জোরে ভাঙছ শিকল;
ও তোর যৌবন অস্থায়ী।
ও তোর টগবগিয়ে রক্ত ছোটে,
শিরায় শিরায় উপচে পড়ে,
উত্তাপে তাই শক্তি ঝরে;
ও তোর রক্ত জমবেরে।
-
আজ শক্তি আছে ক্ষমতা আছে,
আছে বিদ্রোহ করার সামর্থ্য,
তাই ছুটছ নেশায় ভুলছ মর্ত;
ও তোর শক্তি দমবেরে।
ও তোর আজ বুদ্ধি আছে,
তাই খাটিয়ে করছ কত মন্ত্রণা,
আসবে যেদিন বার্ধক্যের যন্ত্রণা,
ও তোর বুদ্ধি যে ফুরাবে।
-
মেধার বলে যত একাকারে,
মস্তিষ্কে দিলে ঠাঁই অবৈধতারে,
ঠকবাজির ফাঁদে আঁটকে যারেতারে;
ও তোর মেধাও হারাবে।
ও তোর প্রতিভার নিমিত্তে আজ,
মনে কত বর্ণিল সাতকাহন,
করছ বিশ্বজয়ের ভাবনা বহন;
ও তোর বিরাম হবে প্রতিভার।
-
আজই কূটনীতির ওই ধূর্ত জালে,
কত ছল-চালের ওই পাতলে ফাঁদ,
যত ছিল স্বার্থ নিলে মিটায়ে সাধ;
ও তোর পতন হবে ধূর্ততার।
ও তোর জীবনটা এক স্বপ্নবহ,
স্বপ্নে এল স্বপ্নে যাবে তোরই অজান্তে,
মনঃপুত হোক না হোক তবু হবে মানতে;
ও তোর জীবনটা অস্থায়ী।
-
এযে দমের গাড়ি দম্ভ ভরে চলছ ওরে,
থামবে গাড়ি স্টেশনের ঐ সীমান্তে,
বেলা গড়ালে ঠিক আয়ূর দিগন্তে-
ও তোর দম্ভ ক্ষণস্থায়ী।
॥ রচিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮; স্ব-নীড়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ॥