গোপালগঞ্জে জন্ম হলো যে ক্রুদ্ধ আগ্নেয়গিরির,
বিশ্ব ডুবান সৃজিল তুফান জাগ্রত সে চির বীর;
ক্ষিপ্ত লাভা তীক্ষ্ণ প্রতিভা নিয়ে উদ্যত ঐ শির,
যার সামনে নিপাতন অনিবার্য কালো শক্তির।
লাগামহীন অস্ত্রের অভিমুখে দাঁড়াতেও যার,
কাঁপেনি বুকের পাটা সদা উন্নত শির স্পর্ধার;
প্রাণ রেখে বাজি করে বিদ্রোহ পৈশাচিকতার,
ছুটেছে দিবারাত্রি দমাতে শোষকের স্বৈরাচার।
যত আসুক ঝড় ছাড়েনি দম কভু হেরে যাবার,
এ যে অশান্ত অগ্নিপিণ্ড, যে জানে পোড়াবার;
পুড়ে-পুড়ে দগ্ধ অঙ্গ যার, ভয় কি তার পোড়ার!
দগ্ধতার সন্ধিতে নিজেই আগ্নেয়গিরি এবার।
বাংলার আকাশের যিনি স্বাধীনতার লালিমা,
হলো অঙ্কিত যার ইশারায় বাংলাদেশের সীমা;
স্বাধিকারে যিনি নির্ভিক বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রতিমা,
তার হুঙ্কারেই মোদের হলো স্বাধীনতার গরিমা।
এ দেশকে যারা বানিয়েছিল শুধুই ভক্ষণ-থালা,
খাদক সেজে গদির তেজে করেছে এদেশ ফালা;
সয়ে যায় নিরীহ বাঙালিরা হেন উৎপীড়ন জ্বালা,
কিন্তু আর নয়, এবার আগ্নেয়গিরি ছোটার পালা!
উত্তপ্ত হয়েছে বহু ক্রোধ জমানো সূর্যরঙা লাভা,
জ্বালিয়ে দিবে তপ্ত লেলিহান যেথা পড়বে থাবা!
আর নয়! ঘৃণ্য পিশাচের দল বহু খেলেছে দাবা,
এবার উদ্বীপ্ত হয়েছে বঙ্গ নভে মুক্তির সে আভা।
লালিত আক্রোশ যত জরা কেটে হবে উন্মেষ,
প্রতিটি বাঙালি যেন একেকটি ক্ষুব্ধ লাভা রেশ;
প্রতীক্ষা শুধু করতে আগ্নেয়গিরির সম্মতি পেশ,
এবার এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ অনুজ্ঞার সন্নিবেশ।
৭ মার্চ ভাষণে ক্ষুব্ধ লাভাকে করে অদম্য উত্তাল,
ছোটায় দিগ্বিদিক ওড়াতে দিগ্বিজয়ের শক্ত পাল;
মুজিব নামের আগ্নেয়গিরি ধরেছে নাওয়ের হাল,
এবার আসতেই হবে মুঠে বিজয়ের সবুজ লাল।
রচিত: (তৃতীয় প্রহর, 2.00 AM) ১০ জানুয়ারি ২০১৯; শয়ন কক্ষ, স্ব-নীড়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
কাব্যগ্রন্থ: ক্রুদ্ধ আগ্নেয়গিরি (২০১৯)