ব্যাধিটা বিশ্বময়! মরণব্যাধি যে কেন হয়!
অকালেই সে ঘটায় জীবনের এ পরাজয়;
জ্বলন্ত যৌবন শিখা আর সুষম দেহ-কোষ,
হঠাৎ করে কি যে হয়! ছড়ায় আতঙ্ক-ভয়।

ব্যাধিটা কী চায়? মরণব্যাধি যে কেন হয়!
স্বচ্ছন্দ, সচল দেহ করে অস্থির-জ্বালাময়;
কি আশ্চর্য! প্রতিটি অঙ্গ যে আগের মতো,
তবুও কেন ডাক্তার কয় হবে না নিরাময়?

ব্যাধিটা কে বয়? মরণব্যাধি যে কেন হয়!
যায় না ধরা, ছোঁয়া, দেখা, কেমন বিষয়!
তবু দেহের কোষে গড়ে কী করে বসতি?
দৃশ্য-অদৃশ্যের যুদ্ধে অদৃশ্যেরই হয় জয়!

ব্যাধিটা কী প্রত্যয়? মরণব্যাধি কেন হয়?
ঘটায় অবক্ষয় কোন সে বল করে সঞ্চয়?
করিলে সংক্রমণ দেহ মৃত্যুর গোনে দিন;
মৃত্যুর এই অপশক্তি খাটায় কোন দুর্জয়?


ব্যাধিটা কতই ভয়! মরণব্যাধি কেন হয়?
মানে না কখন কার সময় কিংবা অসময়;
নিরাকার হয়েও অবয়বের জম অতিশয়!
দেখে না ধনি-গরিব কে বা গুণী-মহাশয়।

ব্যাধিটা কি অত্যয়! মরণব্যাধি কেন হয়?
মরে বৃদ্ধ, নবজাতক, মরে যুবক, যুবতী;
মরে স্বপ্ন, প্রতিভা, মরে নিঃস্ব, লাখপতি,
একটা মরণব্যাধি থমকায় পৃথিবীর গতি।


রচিত: ২০ এপ্রিল ২০২১; ভোর রাত্র ৪ ঘটিকায়, উত্তরা-১০, ঢাকা-১২৩০