ভবে জন্মিলে মরিতে হইবে, জানে না রে কে বা?
ভঙ্গুর এহেন বসুধারে মানবকুল তবু করে সেবা।
এথা রঙ্গ-পৃথ্বী দর্শি অনন্ত কে না চাহে বাঁচিবার!
হেন তৃষ্ণা মিটিল ভণিতা, দেখ এথা কবে কার।
চাক্ষুষ দর্শিয়া নিপাত কারো নাহি জাগে শিহরণ,
অবিরাম রহিবার চাহে তবু স্বীয় ভিটাতে ভুবন।
নাহি জানা মৃত্যুর যম কবে কারে করিবে গ্রাস,
হাওয়ার এই গাড়ির এক মুহূর্তের নাহি বিশ্বাস।
কোটি-কোটি যুগ ধরিয়া যে ভব আজো বহমান,
যত দিন যায় আরো অতিশয় ধরে নব-নব শান।
বৃদ্ধা বসুধারে দর্শিয়া সজ্জিত ভাবিল নব যৌবনা,
ভোগিবার লাগি সেবিল তারে করিয়া উন্মাদনা।
যে বধূ তারে মারিয়া গেল বুকে বারেক মস্ত লাথি,
সে বধূরে ফের করিয়া লিপ্সা বানাইয়া লয় সাথী।
এ মহী তো নয় ধ্যেয়, মেকি বড়, নয় কারো হিত,
তথাপি কেন সাধিতেছ হইয়া মহী-কন্ধে প্রলম্বিত।
মরিতে হইবে শোন, হও তুমি রাজা গুণী মহাজন,
মরিতে হইবেই আচমকা মহা ঝড়ে রাখিও স্মরণ।
রচিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৫; বোয়ালমারী, ফরিদপুর।