এই পৃথিবীর সব আমার, শুধু তুমিহীনা;
এই ধরনীর সবার আমি, শুধু তোমা বিনা।
তুমি যে মোহ-মায়া, কাছে টানতে জানো,
আপন করতে জানো না, দুঃখটা বুঝো না,
তবুও যে ছুটি আমি সদা তোমারই উদ্দেশে,
আর তুমি যেন হারাও কেবলই নিরুদ্দেশে।
তুমি সৌর জগতের সূর্য যেন, কেন্দ্র তুমি,
আমি তোমার চার পাশেই প্রদক্ষিণ করি,
শুধু পারি না কাছে যেতে, প্রচণ্ড উত্তাপ!
পুড়ে যায় দেহ-মন, পোড়ে স্বপ্ন-সোহাগ,
শিতল হয় না চোখের জলেও, হই দগ্ধ!
বড় উষ্ণ তব খরা, আমি হই জীর্ণ-জরা।
তোমার মায়ায় শিখেছি পৃথিবী প্রেমময়,
জানি না সে কি ছিল মোহ, নাকি প্রেম,
নাকি আমাকে পোড়ানো জ্বলন্ত শ্মশান!
তুমি তো পরগাছা, অন্যের বুকেও সুন্দর,
আমায় পোড়াতে একটি কাঠও দিলে না,
শুধু দূর হতে যন্ত্রণার আগুনেই পোড়ালে;
আমি পুড়ে ছাই, শিখা’রা এখনো জ্বলন্ত,
জ্বলছি এখনো, তব দহন বড়ই তেজস্বী।
তুমি যেন ইটের ভাটা, যুগ-যুগ দাঁড়িয়ে,
আমাকে ইটের মতো পোড়াতেই যত সুখ,
আমি ঠিক ইটের মতোই, পুড়ি, পাথর হই,
পরিশেষে ইমারত হই তোমায় সুখ দিতে;
তুমি যে সুখবিলাসী, তাই আমি অট্টালিকা,
যেন তুমি না হারিয়ে আমাতেই কর বাস।
যতই তুমি হও দাহ্য প্রবল রব তব পাগল,
যতই পোড়াও, রবে তুমিই মম স্বপ্ন-অতল,
দেখি আঁধার চক্ষে যদি না ভাসে তব কায়া,
তুমি জাদুর কাঠি, সত্যিই তুমি মোহ-মায়া।
রচিত: ০৯ মার্চ ২০২৩; চাঁদ উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।