এই ধরনীর সবচে বড় উপহার আমার:
মা গো তোমার মুখের হাসি;
                                ও মা তুমি নিও গো বুঝে,
এই পাগলের অন্তরে কতশতবার জপি:
‘মা গো তোমায় ভালোবাসি!’

হয় না বলা মুখে মা গো হৃদয় যত কাঁদে,
কারণ দিন যে বড় অকাল;
                               সুখের হাসি দেখতে ও মা,
অর্থ লাগে, সম্পদ লাগে, লাগে কত কি!
তাইত আমি দূরেই কতকাল!

একটু তোমায় রাখব ভালো জগতকুলে,
তাই ছেড়েছি তোমার কোল;
                                 তুমিই যে পৃথিবী আমার,
তুমি স্বর্গ-জান্নাত, তুমি আমার আমানত,
ত্রিভুবনে তুমিই শ্রেষ্ঠ সম্বল।

তোমায় হারানোর দিন নাহি যেন আসে,
সইতে পারব না সেই মুহুর্ত;
                                 চলে যাবার মহা ডাকটা,
হয়ত আমার পরে, নয়ত অসুক একসনে,
এটাই চাওয়া মম স্বতঃস্ফূর্ত।

আমি তোমায় সবচে বেশি ভালোবাসি,
তোমার তরে পৃথিবীতে আসি,
                                 -আরো শত আসতে চাই;
কেবল ঐ তোমারই কোলে হাসতে চাই,
বলতে চাই শাশ্বত ভালোবাসি।


রচিত: ০৬ অক্টোবর ২০২১; ফুলবাড়ীয়া, উত্তরা-১০, ঢাকা-১২৩০