একি হলো শূন্য খাচা!
পাখি গেল কই?
রথ হারিয়ে দেহ আমার
হলো জমাট দই।

এ কি করো প্রতিবেশী,
নিচ্ছ মোরে কোথায়?
এ গৃহ তো আমার গড়া
বাহির করছ আমায়!

হায়-হায় এ কোথায়!
করাচ্ছ মোরে শয়ন?
যে মাটিকে করেছি চুচ্ছ,
সেথা’ই করলে স্থলন?

করছ এ কী? সর্বাঙ্গ আমার
ঢাকছ কেন চাদরে?
কোথায় রে সেই ভালোবাসা!
আর কি নেই মোর তরে?

ও দরদী মাতা-পিতা,
কোথায় রে সেই আদর?
আজ তো আমি একলা পড়ে
শুধুই গায়ে চাদর।

ওহে স্বজন ভ্রাতৃ ও বোন,
কই গেল সব মায়া?
আজ বিপদে আমার পাশে
নেই তোমাদের ছায়া।

ও মায়াবী প্রাণের বিবি,
কই রে প্রেমের ছল?
আজ কেন সাজায় রে আমার
বাসর মাটির তল!

সন্তানাদী তোদের লাগি,
কত কষ্ট ঝড়!
সয়েছি বুকের পাজড় দিয়ে,
তোরাও করলি পর?

বন্ধু স্ব-জন প্রাণের বাঁধন,
কোথায় তোরা গেলি?
আমার দেহে নেই বলে প্রাণ,
মাটিতে রাখাল ফেলি!

প্রতিবেশী সবাই আসি,
দেখছে আমার মুখ;
ও পাখি তুই আয়না ফিরে,
মিটেনি আমার সুখ।

নিয়তি তবু ছাড়ল না রে
আমার সাধের জীবন!
যাচ্ছি চলে মাটির তলে
চির বিদায় ভুবন।


(রচিত: ৩১ মার্চ ২০১৫; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ‌