আমি তৃষ্ণার্ত পথিক, ছুটি সলিল যেদিক,
জ্ঞাতের নেশায় ব্রহ্মাণ্ড হতে শূন্যে ফিরি;
বিভীষিকার বশে আমি বিচলিত দার্শনিক,
অসমাঙ্গ দর্শনে হয়েছি ক্রুদ্ধ আগ্নেয়গিরি!

আমি ফুলেছি আজ, এবার হবে যত খাঁজ,
আমার অগ্নিপিণ্ডে পোড়াব জগত পৃষ্ঠতল;
কল্মষ মুছে আবার জন্ম দেবো এ সমাজ,
অনৈক্য হটিয়ে করব উত্থাপন ঐক্য শৃঙ্খল।

আর্ত-কারাগারে যত, নিপীড়িত বন্দি সতত,
আমার উদ্ভাসে এবার হবে নীপিড়িতের ত্রাণ;
আমি ভ্রষ্টাচারীর কক্ষপথে ভ্রষ্ট শিকারে রত,
মৃত্যু জমের বন্ধু আমি নাশী যত কালো প্রাণ।

বিরাগের তরে ভাবা, ছুটায় চক্ষে রক্তিম আভা,
সুর অসুরের কষাঘাতে জমেছে দৃঢ় অসন্তোষ;
মনুষ্য কলঙ্কে আমান্তঃস্থে ক্রুদ্ধ আগ্নেয় লাভা,
বিষাক্ত মনুষ্যে শূল হানতে করি না আপোষ।

শুদ্ধ অশুদ্ধের দাঙ্গা, দমাতে আমি চির চাঙ্গা,
আমার আত্মায় সংমিশ্রিত দুর্বৃত্ত নাশের শূল;
জ্বেলেছি সত্যের বহ্নি হবে লুপ্ত কালো পাঙ্গা,
এ তপ্ত লেলিহান স্ফুলিঙ্গ করবে দগ্ধ বদ-মূল।

ক্ষমতার তলে কতবার! পিষে গিয়ে বারবার,
আমি মরেছি ফোঁপিয়ে গোচর-অগোচর কাণ্ডে;
যত দাঙ্গা হাঙ্গামায় মনুষ্য পৃথ্বী করেছে আঁধার,
ওরা জলাঞ্জলি দিয়ে আমায় গড়েছে অগ্নিপিণ্ডে।

তাই এবার আর মরতে, আসিনি তো পুড়তে,
পোড়াতে এসেছি অন্যায়ের প্রতিটি হৃৎপিণ্ডকে;
আমার বুকে উত্তপ্ত কোন্দল-শিখা আছে জ্বলতে,
পুড়িয়ে করব ছারখার যত জালিম মেরুদণ্ডকে।

হস্তমুঠোয় কলম অস্ত্র, সাহিত্য আমার যুদ্ধ বস্ত্র,
সাম্যবাদের ময়দানে আমি নিরঙ্কুশ বীর যোদ্ধা;
আমি আগ্নেয়গিরি ছোটাই লাভা আমি যে হিংস্র,
আমি আপোষহীন ভ্রষ্ট তরে, শিষ্টকে করি শ্রদ্ধা।

যত অনিয়মের ছাপে, ভরেছে রে জগত পাপে,
পাপিষ্ঠ মানবের পৈশাচিকতায় গেছে পৃথ্বী ঘিরি;
আমি ফুলেছি রাগে, পুড়েছি পাশবিক উত্তাপে,
পুড়ে-পুড়ে আমি আজ উত্তপ্ত ক্রুদ্ধ আগ্নেয়গিরি।


রচিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮; ইং, স্ব-নীড়।