হৃদয়ের আঘাতে মম এই হৃদয়টা ভেঙেছে,
ভালোবাসা পেতে গিয়ে কলিজাও ছিঁড়েছে।
এ বুকেতে যন্ত্রণারা এক সুপ্ত বাসা বেঁধেছে,
সুখের আশা করে আমি’টা ধোকা খেয়েছে।

জানি তুই আসবি না ভালো আর বাসবি না,
তবু তোর লাগি বাজে হৃদ-গহনে বিরহ বীণা;
আর নিভৃতে আঁখি ঝরায় অশ্রু ঝর্ণা-তুল্য,
পাষাণীর কাছে তার কি-বা রয়েছে মূল্য!

এ হৃদয় তোকে ছাড়া দেইনি তো কাউকে,
ঠকে গেলাম সব ভালোবাসা দিয়ে তোকে।
এত ভালোবেসেছিলাম গেঁথেছিলাম নিঃশ্বাসে,
ভাবিনি কখনো দিবে আগুন আমার বিশ্বাসে।

তাই তোর দেয়া ব্যথাগুলো প্রাণ ছুঁয়ে গেছে,
অশ্রু ও যন্ত্রণা দিয়ে তোর বুঝি স্বাদ মিটেছে।
আজকে তুই বড্ড সুখি আমা হতে মুক্তি নিয়ে,
আমার এ কূল ভাঙুক যত বিষণ্নতার ঢেউয়ে।

স্বপ্ন রঙিন দেখেছিলাম তোর ঐ মায়াবী চোখে,
ভাবিনি তো চলে গিয়ে কখনো কাঁদাবি শোকে।
ভালোবাসার নামে এমন করে মন ভাঙা হয়,
জানা ছিল না রে, ছিল না কো হারানোর ভয়।

তাই তো ছলনাময়ীর পরে ছলনার পিছে,
ভালোবাসা পেতে গিয়ে জীবন হলো মিছে।
যার কাছে ভালোবাসার নেই কোনো মূল্য,
তার কাছে সুখ চাওয়া যে পাপের সমতুল্য।

সেই পাপে পাপিষ্ঠ আজ আমি এই হতভাগা,
ভালোবাসার প্রতিদানে হৃদয়ে গ্রহণ লাগা।
তাই তো জীবন-তরী যেন মরণপারে ভিড়েছে,
তোর ভালোবাসা পেতে গিয়ে কলিজা ছিঁড়েছে।


রচিত: ১৭ জুন ২০১৭; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।