কবিতা হয়ে জন্মেছি আমি কাব্যের বাগিচায়,
জন্মের পরে আঁখি খুলে দেখি পৃথিবী কাব্যময়।
তখন আমি কেঁদেছিলাম কবিতার ছন্দে ছন্দে,
বিমোহিত করেছিল হরেকতর কবিতার গন্ধে।

প্রথম যখন দর্শিলাম মায়ের মুখের সোনালী রূপ,
মনে হলো এইতো আমার সেই চির কবিতার স্তূপ।
মায়ের মুখের হাসিটা আমায় করেছিল ছন্দময়,
তার প্রতিটি ধ্বনিতেই যেন একেকটি কবিতা হয়।

যখন ঈশ্বর-বাণী শোনাল কানে আযানের সুরে,
সে যেন এক মহাকাব্যের ডাক এল দু’কান পুরে।
যখন দিলো মুখবিবরে সুমিষ্ট মধুর দুয়েক ফোঁটা,
সে যে মধু নয় যেন খাওয়াল আমায় ছন্দ গোটা।

আমার পাশে যখন প্রচুর মানুষেরা বুলি ছড়ায়,
যেন প্রত্যেকেই একেকটি নব কাব্য শেখাতে চায়।
তখন থেকেই আমার অভিযান হলো শুরু ঢের,
ছন্দের সন্ধানে নির্বাধ পল্লবে কবিতা আবিষ্কারের।

সেই থেকেই আমি কাব্যের বাগিচায় নিয়ে ঠাঁই,
ভাবনার সাথে আলিঙ্গন করে কাব্যপুষ্প ফোটাই।
আর আমার ক্ষুধার রাজ্যে শুধু তৃষ্ণা কবিতার,
কবিতা খেয়েই ধরিত্রীতে আশ্বাস পাই বাঁচার।

জাগ্রত স্বপ্ন ঘুমন্ত স্বপ্ন সর্বত্রেই শুধু কাব্য আর কাব্য,
কাব্য বিনা জীবন আমার এ যেন চির অধর্তব্য।
পৃথিবীকে এক নব রূপে সাধিতে এথা ভীড়েছি,
কাব্যের বাগিচায় আমি কবিতা হয়ে জন্মেছি।



॥ রচিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, আপন নীড়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ॥