আমি তোমায় নিয়ে ভাবি যা
সব কবিতা হয়ে যায়,
তোমার কথার প্রতিটি শব্দে
কবি ছন্দ খুঁজে পায়।
তোমার ধ্বনিত প্রতিটি স্বরই
যেন কোকিলের গান,
তোমার বদন ছুঁয়ে ছুটে চলা
যেন বায়ুপ্রবাহের টান।
বাতাসে ওড়া তোমার চুলের
ওই এলোমেলো দোল,
যেন হৃদয় জুড়ানো শরতের
সেই ঢের প্রিয় কাশফুল।
তোমার ওই ছোট্ট নাকফুলে
আমি যেন বুঁদ হয়ে রই,
তোমার ওই কানের ঝুমকায়
আমার হৃদে ফোটে খই।
তোমায় ঘিরে প্রতিটি ভাবনা
যেন নিউক্লিয়ার বোমা,
ফোটেনি আদৌ শত দ্বন্দ্বেও
শুধু তোমার জন্য জমা;
যে বোমা কেবল ছন্দ-কবিতা
আর শত রোমাঞ্চে ভরা,
সে বোমার হোক বিস্ফোরণ
সাজাতে এক নতুন ধরা।
তোমার হাসিতে ঘোর-নিশিতে
ছড়ায় পূর্ণিমার আলো,
ঐ বাঁকা ঠোঁটে গোলাপ ফুটে
আমায় প্রেমে ফাঁসাল।
মোর মনপুরী বাগিচায় তুমিই
আপাদমস্তক এক ফুল,
আমি হব মালি ওই বাগিচার
হতে তব যত্নে মশগুল।
তোমার ঐ দু’চোখে তাকালে
আমি যেন ঝলসে যাই,
সূর্য-কিরণ সেও মৃদু হয়ে যায়
দিবালোক খুঁজে না পাই;
রাতের আঁধারে তব মুখখানি
যেন পূর্ণিমার শুভ্র চাঁদ,
ওই চাঁদের চেয়েও সুন্দর কেউ
হতে পারে এত নিখাদ!
তোমার সৌন্দর্যের গভীরতায়
আমি যে নীলিমার পাখি,
অবিরত উড়ে-উড়ে ঘুরে-ঘুরে
যত দেখি রয়ে যায় বাকি।
তোমার ওই দু’চোখের নদীতে
আমি যে সাঁতার কাটি,
তোমায় ছুঁতে শত ডুব-সাঁতারে
পাই না কিনারের মাটি।
আমি তোমার জন্য হয়েছি যেন
হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা,
এ বাঁশির সুর ছুঁলে তব হৃদয়পুর
ছুটে এসো না-পুষে জ্বালা।
জেনে নিও তুমি ওগো প্রিয়দর্শিনী:
তুমি রূপ সব রূপকথায়,
তাই তো তোমায় নিয়ে ভাবি যা
সব’ই কবিতা হয়ে যায়।
রচিত: ৫ আগস্ট ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭