কবি শুকান্ত ভট্টাচার্য তুমি,
জানি না কোন স্বর্গে রয়েছ ঘুমি।
সূচনা করেছিলে তুমি সবেমাত্র!
বিদ্রোহী লেখা: ঘুম নেই, ছাড়পত্র,
হরতাল, অভিযান ও পূর্বাভাস;
তারপর তুমি হলে ইতিহাস।

ত্যাগিলে প্রাণ কোলকাতা হাসপাতাল,
কী করার! মোদের ফাটা যে কপাল!
আটষট্টি বছরেও তুমি ফিরলে না গুরু,
তাই তব অনুপ্রেরণায় লেখা করছি শুরু;
কাব্যে আমার যেন পাই তোমার পবন,
বিদ্রোহী তুফানে নাড়াতে চাই ভূবন।

তোমার একুশ বছরের স্বল্পায়ু কবিত্ব,
যেন রেখে গেলে শত বছরের কৃতিত্ব!
তরুণ বয়সে তুমি জ্বেলেছ যে আলো-
বাংলার প্রতি কণায়-কণায় তা ছড়াল;
তাই তো মোরা এই বঙ্গবাসী,
আজও তোমায় বড় ভালোবাসি!

ওহে কালজয়ী কবি শুকান্ত ভট্টাচার্য,
তুমি নও মোদের কাছে মৃত আজও;
তোমার ছায়া দর্শি তব কাব্য মাঝে,
মরণ কভু আর তোমায় ছোঁবে না যে;
চির অমর হয়ে থাকবে এথা তুমি,
তোমার জন্য কাঁদে আজও কঙ্গভূমি:—

“কোনো দিন কি আসবে হেন সুকান্ত?
যে কলম অস্ত্রে করবে ধরনী শান্ত!”

শুনে আমি বঙ্গভূমির এ আন্তঃ-মাতম,
দিলাম কথা ফেলব তার কদমে কদম
করব লিখে তার মতন,
অকাল মৃতের দুঃখ মোচন;
তবুও যে আমি ভুলব না রে,
‘কবি শুকান্ত ভট্টাচার্য’ তোমারে।


রচিত: ০৫ মার্চ ২০১৫; কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটা, উনশিয়া, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
(কবিতাটি ১৪.৫ বছর বয়সে রচিত।