আমি ছিলাম না, থাকব না;
এসেছি, বাঁচব না।
কে আমি! আমি কিছুই না;
আমি: আমি না, আমি অবাস্তব।
আমি নিষ্ক্রিয়, অনন্ত শূন্য।
আমি কোথায়? তা অজ্ঞাত।
কোথা থেকে এলাম? হায় রে!
কোথায় থাকব? কি হচ্ছে এসব!
আমার আমি, সে কি সত্য?
নাকি এখন চলছে স্বপ্ন!
আমার কি অস্তিত্ব আছে?
ছিল? নাকি থাকবে? কি হবে!
আমি কি আসলেই এখন আছি?
নাকি রূপকথা চলছে?
এভাবে কতদিন চলবে?
অতঃপর কী হবে? আমার কী রবে?
আমার সাথে পৃথিবীর সন্ধি কী?
কি করে থাকছি অবনতিতে!
কে রাখছে? কেন রাখছে?
কেন বেঁচে আছি আমি?
নাকি মৃত এখন! কেন এত অনুভব?
কে দিচ্ছে এসব? তাও কেন আমাতে?
আমি কি ভিন্ন কেউ? নাকি ছিন্ন কেউ?
নাকি পৃথ্বী নদের এক ধূম্র ঢেউ!
আমার ইচ্ছে, কে দিচ্ছে?
কোথায় পাচ্ছি? কিসের বিনিময়ে?
আবল-তাবল কী সব ভাবছি!
কেনই বা এসব লেখছি? কে লেখাচ্ছে?
আমি কি পাগল? নাকি সচল?
কিভাবে বুঝব? চেনার কী উপায়?
পাগলের কী প্রলাপ? সচলের বা কী আলাপ?
এগুলো কেন খুঁজছি! খুঁজে কী পাচ্ছি!
আমার পৃথিবীতে আমি কি একা?
নাকি সঙ্গরত কেউ আছে?
ছিল? না থাকবে? তাও বা কতক্ষণ?
তারপর কই যাবে? কোথায় হারাবে?
নাকি হারাবে না? এক’ই সঙ্গে অনন্ত রবে!
তবে সেই ঠিকানা’ই বা কী হবে?
তখন নতুন কোন্ অস্তিত্ব হবে?
নাকি হবে না! ঘটনা কোন দিকে গড়াবে!
এইযে আমার আমি টা কে বড্ড ভালোবাসি!
প্রচুর আপন ভাবি, হারাতে চাই না কভু;
আসলেই কি আমি আমার আপন?
নাকি আমার কোনো ভ্রম হচ্ছে এসব ভেবে!
তাহলে এই আমি টার জন্ম হলো কেন?
যদি আমার আমি বলতে কিছুই না রবে...
আচ্ছা তাহলে কই যাবে? এই যে আমি টা!
কেন এই আসা-যাওয়া ক্ষণিকের ভবে!
এথা এসে কী কুড়ালাম? যশ নাকি বদনাম?
এই যশ কিম্বা বদনাম রবে বা কতদিন?
তারপর কী হবে? নাকি কিছু রবে’ই না?
আমার আমি বলতে কী বুঝি? নিরুত্তর!
আসলে আমি নেই, ছিলাম না, থাকব না;
আর এখন যা হচ্ছে, সব অজ্ঞাত ভ্রম!
আমি অবস্তু, পদার্থের বাইরে,
নেই বক্রতা, শুধু সমান্তরাল এক স্বপ্নরূপ।
এই আমি টা তো অযাচিত, চাইনি,
তবু পেয়েছি, আচ্ছা কেন চাইনি?
উত্তর একটাই, আমার আমি বলতে শূন্য।
তবে কেন চাওয়া পাওয়ার এই হিসেবটা?
যার আগে পিছে উপরে নিচে সবই রিক্ত,
তার আবার কিসের চাওয়া? তবে কেন জাগে?
কে জাগায়? কী কারণে? উত্তর কে দেবে?
কেউ না, কারণ আমার আপন তো ওই শূন্যটা।
আচ্ছা এই শূন্যটা সৃষ্টি করল কে?
যার মধ্যে তুমি-আমি সবাই গাঁথা!
কাল্পনিক প্রভু তো এ শূন্যেরই অংশবিশেষ;
তাহলে এ শূন্য কি অনন্তের বাইরে?
এ যোগ বিয়োগ টা বড়’ই সাধ্যহীন!
কভু মিলবে না কোনো দিন,
আর আমার আমি’কেও কভু না পাব খুঁজে;
শুধু অক্লান্ত অনর্থক ভেবে যাই নিরন্তরে।
কেন ভাবছি তবে? যার নেই ফলন!
হয়ত আমিত্বে ডুবে গেছি,
হাতড়িয়ে না পাই কিনার না পাই ঠাঁই;
কেন বারে-বারে ডুবে যাই? কে ডুবায়?
কেন’ই বা ডুবায়? কতদিন থাকব ডুবে?
আমি নিস্তার চাই, কখন তা হবে?
নিঃশ্বাস রোধ হবে যবে? নাকি তাও পাব না রেহাই?
তাহলে এ পাগল কবির প্রশ্নগুলো কোথা পাবে ঠাঁই!
রচিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮; আপন নীড়, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।