এখন গভীর নিশির গহন তিমির,
একাকীত্ব ভীষণ উথাল-পাথাল;
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে বহু প্যাঁচ,
মিটবে কবে জীবনের এ জঞ্জাল।

বাইরে শনশন করে বইছে বাতাস,
মাঝে মাঝে হুয়াক্কাহু শৃগাল-হাঁক;
আবোহাওয়াটা বড়ই শিতল আজ,
ধমকায় গুড়ুম গুড়ুম মেঘের ডাক;

সাথে বিজলীরা ভয় দেখিয়ে যায়,
আর বজ্রপাতের কি বিকট শব্দ!
যেন ভেঙে পড়বে ছাদে আকাশ,
জীবনটা মোর করে নেবে জব্দ।

এই বুঝি শেষ রাত একাকীত্বের,
শেষ হবে মোর সব ভবের স্তব্ধতা,
বেদনা যত পড়বে চাপা অতলে,
খুঁজে পাবে না রে মম উপলব্ধতা।

আর বিদ্যুৎ চমকানো আলোটা
বাতায়ন-কাঁচ ভেদে ঢুকে কক্ষে,
নষ্ট বাতি হেন করে চলে আচরণ,
দুরু দুরু হলো শুরু মোর বক্ষে।

মনে হয় ঝলসে দেবে সবকিছুই,
একাকীত্বের যে আগুনে জ্বলছি,
সে আগুনের আজ উল্লাস ক্ষণ!
একটুকরো বজ্রেই দেবে ঝলসি।

আমি ঝলসে যাব, রে ধ্বংস হব,
এসে কাল দেখবে সবাই কঙ্কাল;
মাংস পোড়া ছাই উড়াইও বাতে,
যেন মিটে যায় জীবনের জঞ্জাল।


রচিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭