মহা সমুদ্রের মাঝে ভাসছে জীবন তরী,
পাল তুলে হাওয়ার সাথে সন্ধি করি;
জানি না সে কোথায় নিয়ে যায়,
আর কোন ঘাঁটে তরী ভিড়ায়;
কিম্বা কখন যে ডুবে যাই,
এ তরীর ভরসা নাই!

তরী মোর উত্তাল ঢেউয়ের সাথে লড়ে,
মাঝে-মাঝে ঝড়ের কবলেও পড়ে;
জানি না কখন পাল ছিঁড়ে যায়,
আর ভুখা হাঙর গিলে খায়;
কিম্বা কখন ধরে ফাটল,
এ তরীর ভয়টা জল!

উড়ে এসে জুড়ে বসে কত পাখি গায়,
কত রঙিন স্বপ্ন দুই নয়নে দেখায়;
জানি না কখন স্বপ্ন টুটে পাখি,
আর উড়ে যায় সে একাকী;
কিম্বা আমায় করতে খুন,
কবে দেখায় স্বীয় গুণ!

যে তরী দুঃখ-বেদন লয়ে ডুবুডুবু প্রায়,
তারে ডুবানোর জন্য শতজন পায়;
জানি না  কখন যে হঠাৎ ডুবায়,
আর সবকিছু লুটেপুটে খায়;
কিম্বা ঈশ্বর যদি মৃত্যু চায়,
বাঁচার  নাই রে উপায়!

মহাকালের যাত্রায় তরী দিক হাতড়ায়,
কিনার মেলে না রে যতই সাতরায়;
জানি না কখন ‌ ডুবে যায় বেলা,
আর সাঙ্গ হয় এই ভব খেলা;
কিম্বা জীবন তরী বিতৃষ্ণায়,
নিজেকে নিজেই ডুবায়!


রচিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; সাতমসজিদ হাউজিং, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।