যে গেল, সে তো আর এল না,
বলে যাবার সময়টুকু পেল না!
কোথায় সে আমিত্বের অস্তিত্ব?
কোন নিবাসে বাঁধিল সংসার?
কোন অবয়বে হলো অবতার?
কোথায় ফের রচিল নব নিত্য?
সে কি আর আসবে না ভূপৃষ্ঠে?
কোন সে দ্রষ্টা তারে আঁটিল হৃষ্টে?
কেন ফিরিবার নাম না লয় আর?
ও কূলে কি সুখ অতি গৃহিছে কেউ?
নাকি মিছে ছলে তারে ঘিরিছে কেউ!
- যার সম্মোহনী ক্ষমে সকলে অসার!
ও ছলবন্দির সন্ধি কতকালের?
ফুরাবে কি কভু এ ভৈরবী সময়ের?
নাকি বীনা কালশুমারিতেই রবে?
এ কেমন সৃজন মেলার সন্নিবেশ?
জীবন্তে যার ঘটে না বিন্দু উন্মেষ;
- কী হয়েছিল! কী হচ্ছে! কী হবে!
বিদায় দিলাম যারে একবার,
কষ্মিনকালেও এল না এপার;
ওপারেতে হয় কিসের খেলা?
মরণের আবরণে যে নামে মাঠে,
আসে না ফিরে কক্ষনো ভব-হাটে;
করিছে কে প্রাণ জিম্মির এ মেলা?
ভবমানব যত হয়েছ ভববিচ্ছেদ,
ফিরে এস কেউ, কর রহস্যভেদ;
অন্তরালে সচল কিসের চক্র-শূল?
সুষম অনুপাতেই যত ক্রমান্বয়,
কিসের সূত্র গাঁথা এর অন্তরায়?
কেউ আছে? নাকি লবডঙ্কা মূল!
তবে কিসে জীবন আসে জীবন ভাসে?
জন্মিলে ভব হাসে, কাঁদে নিথর লাশে;
কেন এই হাসিকান্নার অভূত আচরণ?
হাসির রেশ কাটতে না কাটতেই,
আবার এসে যায় মৃত্যুয ডাকতেই;
আর অনন্ত তরে গিলে খায় মরণ।
একই ফ্রেমে আমিও যে হলাম বন্দী,
কি ভয়ঙ্কর! আমাতেও হবে মৃত্যু-সন্ধি!
আমি নির্ণিতে ব্যর্থ এ নিগূঢ় তারতম্য:
কিসের অর্থে হলো মম এ উদ্ভাবন?
কবে হবে এহেন রহস্যের উদ্ঘাটন?
আর ঘুচবে জীবন মরণের বৈষম্য!
রচিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯; মাঝবাড়ি, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।