একটা জীবনের জন্য যুদ্ধ করি বারো মাস,
একটা মৃত্যুর জন্য বেঁচে থাকি জীবনভর
কেবলই হতে লাশ।
একটা সুখের অসুখ নিয়ে ভুগি আমরণ,
একটা পেটের জন্য ছুটি দিনরাত ভুলে
করতে জীবনধারণ।
একটা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে করি লড়াই,
একটা শান্তির পরশ পেতে ঘাম ঝরাই
বাঁচতে করে বড়াই।
একটা হৃদয়ের ভালোবাসা খুঁজতে হই ক্লান্ত,
একটা সুখের নীড় বাঁধার আপ্রাণ চেষ্টায়
জীবনটা অবিশ্রান্ত।
একটা আকাশচুম্বী অট্টালিকা গড়তে চাই,
একটা স্বর্গীয় পৃথিবী মম দখলে নিতে চাই
করতে যাচ্ছেতাই;
একটা দাম্ভিকতার সাথে চলব নিয়ে ভাব,
একটা প্রতিপত্তির জোরে করব ক্ষমতায়ন
চারিদিকে ছয়লাভ।
একটা মৃত্যুর গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে,
একটা খবর নেয়ার সময় পাইনি এখনো
ভুলে গেছি ‘আমি কে?’
একটা মিথ্যার জন্য ছুটছি হয়ে নাস্তানাবুদ,
একটা সত্যের দায়ে কখন যেন নিভে যায়
শ্বাস-প্রশ্বাসের বুদ্বুদ।
একটা স্বপ্নের কাছে বিকিয়ে দিয়েছি আয়ু,
একটা রত্নের খোঁজে নেমেছি বিশ্ব সায়রে
থমকে দিয়ে সব স্নায়ু।
একটা অতি কোমল প্রাণের তাণ্ডবে মরি,
একটা ক্ষণস্থায়ী দেহের স্পর্ধায় বাজি ধরি
যেন মহাকালের প্রহরী।
একটা অমরত্বের সন্ধানে দিবানিশি খাটি,
একটা খ্যাতির জন্যে হন্নে হয়ে দৌড়ে ছুটি
তবু শেষে জোটে মাটি।
একটা যৌবন শেষ করি অন্যের জন্যে সেধে,
একটা যৌবন আবার ফিরে পেতে নিজ তরে
জীবনটা ফুরাই কেঁদে।
রচিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭