জন্মের চিৎকারে ফেটেছিল পৃথিবী,
কেটেছিল ‌মহাকালের ঘুম,
আমার কান্নায় সবাই হেসেছিল ধুম;
সেই থেকে আমি বৈরিতার সাথে লড়াই করে বাঁচি,
আর এভাবেই বেঁচে আছি!

অতঃপর সাক্ষাৎ মোহ-মায়ার সাথে,
সে ছিল ত্রিভুবনের বড় ভুল,
স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল হারিয়ে সর্ব কুল;
মহাকালের যাযাবর হয়ে ছুটছি দিগন্তে গন্তব্যহীন,
তার দিশা পাব কোনোদিন?

সাগর সেঁচি আমি পেলুম যে হিরে,
সে তো ফেরায়নি তাকদির,
খরা হয়ে কপালটা করেছে চৌচির;
তবু আষাঢ়ে চাতক হয়ে থাকি যদি বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
রাখব তারে এই বুকে ধরে!

যে গেছে আমার বুকের গহন চিরি,
তার ও-বুকে স্নিগ্ধ হয়ে ঝরি,
আর কালে-কালে তার ভালে মরি;
মরতে বড় স্বাদ লাগে সে মরণ যদি হয় তার হাতে,
হয় কি আর কষ্ট মম তাতে!

আমি তো মরেছি বহুকাল আগেই,
যখন বুঝেছি ধরা প্রেমময়,
তাই আমারও প্রেম জাগে প্রেম হয়;
আর অকালে সেই প্রিয় মানুষটির হাতেই ক্ষুণ হই,
তবুও ক্ষুণীর অপেক্ষায় রই!

হয়ত মম ক্ষুণী আজ সুখেই আছে,
করছে অন্য বুকেতে উচ্ছ্বাস,
সজ্ঞানে আমায় করে জীবিত লাশ;
তবুও যে সেই ক্ষুণীকে আমি বড্ড ভালোবাসি রে,
মরেও যে তার প্রেম চাষি রে!

এ লাশের কবর হয়নি রে পাতালে,
কবরটা মোর তার বুকেতে,
নিদারুণ ব্যথা পুষে আছি সুখেতে;
এ সুখের অসুখ বুঝি ঘুচবে না মোর কোন কালে,
চির অসহায় বিধির জালে!

পৌরুষের প্রেমে অবলার বেইমানি-
পাথর হানে পৌরুষ অন্তরে,
অন্য অবলা: “পুরুষ পাথর কেন রে?”
এক দুবার নয়, বারংবার মরলে পুরুষ পাথর হয়,
নর অন্তরে নারী চির সংশয়!

শুধু জন্মেই কারো জীবন পূর্ণ হয় না,
পূর্ণতা থাকে ঐ ভালোবাসায়,
সেই ভালোবাসা গেল মোর নিরাশায়!
শত চেয়েও তারে এ জীবনে আর পাওয়া হলো না,
কেড়ে নিল ভয়ংকর ছলনা!

যৌবনেরই কৃষ্ণচূড়ার চূড়ায় যারে,
দেখেছিনু আগুনরঙা ফুলে,
তারে ফুল ভেবে ধরিনু আমি ভুলে;
অতঃপর বাতাসে ভাসাই জীবিত লাশের চিরকুট,
লিখেছি: হৃদয় হয়েছে লুট!


রচিত: ৭ই জানুয়ারি ২০২৪; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭