জীবন মানে সংগ্রামের এক রাজ পথেতে চলা,
জীবন মানে সকাল থেকে সন্ধ্যার একটি বেলা।
জীবন হলো ভুবন বৃক্ষের তুচ্ছ একটি পাতা,
কখন কে রে যাবে ঝরে কেউ জানে না বার্তা।

জীবন হলো না লেখা এক বাস্তব উপন্যাস,
যার মাঝে সবই আছে সুখ-দুখ ও বিনাশ।
জীবন মানে মরণ সনে যুদ্ধ করে বাঁচা,
ভুবন নামের মহা বৃক্ষে জীবনটা পরগাছা।

জীবন হলো দমের গাড়ি দম ফুরালেই শেষ,
চিরতরে আপন হবে অচিন কালো দেশ।
জীবন হলো কচু পাতার একটি পানির ফোঁটা,
জীবন মানে মরণ পানে অজান্তেই ছোটা।

জীবন মানে চাওয়া-পাওয়া নেই রে যার অন্ত,
জীবনটা কার, খুঁজে না উত্তর থাকতে ভবে জ্যান্ত।
জীবন হলো পৃথ্বী ওয়ালার একটি খেলার পাত্র,
মরণ যাকে করতে আপন চায় সদা ছাড়পত্র।

দুই হাতে আর দুই কাঁধেতে ভীষণ ভারী বোঝা,
মস্তকে আরেকটি তার হাঁটতে পারে না সোজা।
তবুও তাকে হাঁটতেই হবে নেই সাহায্যের জন,
এমন লোকের হালটি যেমন, এরই নাম জীবন।


॥ রচিত: ২৬ জুলাই ২০১৫; আপন আঙিনা, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ॥
—————————————(১৪.৫ বছরে লেখা কবিতাটি)